ভারতের গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, মৃত্যুর দুদিন আগেও তিনি করেছেন ফটোশুট। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শোনা গেল এই দুঃসংবাদ। কাজেই তার রহস্যজনক এই মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্নেরও সৃষ্টি হয়েছে। তার মরদেহ কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়েছে।
তবে নানাবিধ অসুস্থতা নিয়ে জীবন কাটাতেন শেফালি। তার বয়স যখন ১৫, তখন থেকেই লড়ে যাচ্ছিলেন নানা অসুখে। অনেক আগে এক সাক্ষাৎকারে শেফালী জানিয়েছিলেন, যেকোনো বিষয়ে খুব চাপ অনুভব করতেন তিনি, বিশেষ করে পরীক্ষার সময়।
আরও পড়ুন: ডিপ্রেশনে ছিলেন শেফালি
সেই সাক্ষাৎকারে শেফালি বলেন, ‘১৫ বছর থেকে আমার মৃগী রোগ আছে। যে কারণে খিঁচুনি হয়। রয়েছে ডিপ্রেশনও। আবার ডিপ্রেশনের কারণেও এই খিঁচুনি হতে পারে। একটা অন্যটার সঙ্গে জড়িত। ক্লাসরুমে, ব্যাকস্টেজে, রাস্তায় বা কোথাও বের হতে পারতাম না, আত্মবিশ্বাসের অভাব অনুভব করতাম।’
শেফালি এও জানিয়েছেন, ‘কাঁটা লাগা’ সফল হওয়ার পরেও তিনি শোবিজ থেকে তার সংযোগে দূরত্ব তৈরি করেন। কারণ বহু বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। বুঝতে পারতেন না হঠাত্ কখন খিঁচুনি হবে। খিঁচুনি হলে পারফরম্যান্সের মাঝে সামাল দেয়া মুশকিল। তাই মৃগীর মতো অসুখকে সামাল দিতেই সতর্ক থাকতেন তিনি। পরে অবশ্য তাকে এই অসুখ খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালির মৃত্যুর কারণ কী?
শেফালি ব্যক্তিগত জীবনেও বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন। ২০০২ সালে তার প্রথম বিয়ে হলেও সেই সম্পর্ক টেকেনি। ২০০৯ সালে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন এবং বিচ্ছেদ ঘটে।
২০১৪ সালে শেফালি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেতা পরাগ ত্যাগীকে। দুজন মিলে অংশ নেন জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘নাচ বালিয়ে ৫’-এ। মানসিক স্বাস্থ্যসচেতনতা ও নারী-অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন শেফালি জারিওয়ালা।