সাগরে এখনো নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী অরিত্র, পদযাত্রায় নিরাপত্তা দাবি

৪ সপ্তাহ আগে
কক্সবাজারের পেচারদ্বীপ সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ জনের মরদেহ পাওয়া গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরেক শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান। তাকে উদ্ধারে সাগরে দ্বিতীয় দিনের মতো চালানো হয় তল্লাশি। এদিকে বুধবার (৯ জুলাই) পর্যটনবান্ধব নিরাপদ সমুদ্র চাই দাবিতে সৈকতে পদযাত্রা ও মানববন্ধন করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

পেচারদ্বীপ সমুদ্রসৈকত থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সমিতিপাড়া সমুদ্রসৈকত। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টায় জোয়ারের সময় হঠাৎ ভেসে যুবকের মরদেহ। যা দেখে স্থানীয় জেলেরা খবর দেয় প্রশাসনকে। এর পরপরই ছুটে আসে জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা। মরদেহটি উদ্ধার করে পাঠানো হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে; আর শনাক্ত হয় ভেসে আসা মরদেহটি পেচারদ্বীপ সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ আসিফ আহমদের।

 

সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সুপারভাইজার মো. ওসমান গনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে লাইফ গার্ড কর্মীরা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে তল্লাশি কার্যক্রম করে। এসময় হঠাৎ সমিতি পাড়া স্থানীয় জেলেরা একটি মরদেহ দেখা গেছে খবর পায়। তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী, লাইফ গার্ড কর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। আর শনাক্ত হয় মরদেহটি নিখোঁজ শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের। পরবর্তীতে মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় হয়। আর লাইফ গার্ড কর্মীরা অপর শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের খোঁজে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

 

দু’দিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী সাবাব ও আসিফের মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরেক শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান। তাকে উদ্ধারেও তল্লাশী কার্যক্রম চালাচ্ছে উদ্ধার কর্মীরা। তবে সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: ১১৭ কিলোমিটার সৈকতই ঝুঁকিপূর্ণ, কক্সবাজারে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল

 

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন ভট্টাচার্য্য বলেন, এখনো নিখোঁজ রয়েছে চবির আরেক শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান। তাকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কোস্টগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় জেলেরাও কাজ করছে।

 

জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার মো. মাহাবুব বলেন, উদ্ধার হওয়া সাবাব ও আসিফের মরদেহ বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনো বিচ কর্মীরা নিখোঁজ অপর শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।

 

এদিকে পর্যটনবান্ধব নিরাপদ সমুদ্র চাই দাবিতে দুপুরে সমুদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্টে মানববন্ধন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভয়েস অব কক্সবাজার ভলান্টিয়ার্স। যেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাসহ পর্যটকরা অংশ নেন। পরে ৩ কিলোমিটার সৈকতে পদযাত্রা করেন তারা।

 

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব এস এম সুজাউদ্দিন বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সঙ্গে জেলা প্রশাসন কিংবা অপর ৩টি জায়গার সঙ্গে কোনো ধরণের সমন্বয় নেই। সমন্বয় শুধুমাত্র মাসিক, বার্ষিক এবং সাপ্তাহিক মির্টিং ছাড়া আর কোনো সমন্বয় দেখা যায় না। আপনারা এই অব্যবস্থাপনা বন্ধ করুন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’

 

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি, পাহাড় ধসের আশঙ্কা

 

এর আগে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের পেচারদ্বীপ সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী। যাদের মধ্যে সাবাব ও আসিফের মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ অরিত্র হাসান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন