এর আগে নেপালের বিপক্ষেই লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন মোসাম্মত সাগরিকা। সোমবার (২১ জুলাই) একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেই পেয়েছেন গোলের দেখা। তার গোলেই ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অলিখিত ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আজ নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। এ দিন চার ফরোয়ার্ড নিয়ে একাদশ সাজান পিটার বাটলার। নবীরণ খাতুন, উমেলা মারমা, মোসাম্মত সাগরিকা ও পূজা দাসকে শুরুর একাদশেই মাঠে নামান বাংলাদেশ কোচ।
মাঝমাঠে বরাবরের মতো আজও শুরুর একাদশেই ছিলেন মুনকি আক্তার ও স্বপ্না রানী। এই দুজনের সঙ্গে আছে শান্তি মার্ডি এবং ঐশী খাতুন। মাঠের লড়াইয়ে প্রথম ১০ মিনিটেই চারটি সুযোগ তৈরি করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: লিভারপুলের পছন্দের স্ট্রাইকারের জন্য আল হিলালের ১৮৩৭ কোটি টাকার প্রস্তাব
ম্যাচের ৮ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন সাগরিকা। মিডফিল্ড থেকে এক ডিফেন্স চেরা থ্রু বল পান সাগরিকা। নেপালের ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক বক্সের বাইরে এসেও আটকাতে পারেননি সাগরিকাকে। কোনাকুনি প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড। তিন ম্যাচে এটি তার পঞ্চম গোল।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সাগরিকা। পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও গোলের দেখা পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। এতে তিনি তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ছিলেন। আজ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই গোল করলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি লিগে খেলতে গেলেন আরও দুই বাংলাদেশি ফুটবলার
ম্যাচের ১৫ মিনিটে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিলি আক্তার পোস্টের সামনে বেরিয়ে এসে বল গ্রিপে নিতে পারেননি। নেপালের ফরোয়ার্ডের শট সাইড বারে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলও জালে পাঠাতে পারেননি নেপালের খেলোয়াড়।
বাংলাদেশও ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ পেয়েছিল। ১৯ মিনিটে মুনকি আক্তার বক্সের উপর থেকে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন। তবে ফাঁকা পোস্টে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন নেপালের ডিফেন্ডার আনিশা রায়।
]]>