নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ১০ ইঞ্চির কম দৈর্ঘ্যের জাটকা ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, বিনিময় ও মজুত সম্পূর্ণভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আইন অমান্য করলে একজন জেলে ১ থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধন বন্ধ করা জরুজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে সাগর ও নদীতে কঠোর নজরদারি ও অভিযান চলবে। অবরোধ সফল করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। তিনি আরও জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা দিতে সরকার ভিজিএফ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এতে জেলার নিবন্ধিত ৮৯ হাজার জেলে ৪ মাস ধরে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল পাবেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সাড়ে ৩০০ কেজি পচা ইলিশ জব্দ, লাখ টাকা জরিমানা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রাক্কালে জাটকা বিপণন কার্যক্রম সচল রাখতে পুরাতন সিন্ডিকেট আবারও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, অবৈধ এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, আইন অমান্যকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জাটকা ধরা, বিক্রি বা পরিবহনে জড়িত যে-ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৩ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·