বুধবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে ইনিংস পরাজয়ের মুখে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শতরানের আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা। আজ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ বল হাতেও ৫ উইকেট শিকার করেছেন।
এই ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করে বিরল এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন মিরাজ। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন তিনি।
সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন মিরাজ। কিন্তু টাইগাররা ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচটি হেরে যায়। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১ ওভার বল করেও উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। এরপর বাংলাদেশের ইনিংসে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ব্যাট করতে নেমে শতক তুলে নিয়েছেন। জাকেরের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামা মিরাজ লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের সঙ্গে জুটি গড়ে আজ বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দেন। দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৬২ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১০৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত
এরপর জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতেও জ্বলে উঠেছেন তিনি। ২০ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে জিম্বাবুয়ের পাঁচ ব্যাটারকে বিদায় করেছেন তিনি।
তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট শিকার করলেন মিরাজ। এর আগে সাকিব আল হাসান দুবার এবং সোহাগ গাজী একবার এই কীর্তি গড়েছেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিব প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন। সে ম্যাচে ১৪৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতেও ৮২ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব।
এর দুই বছর পর চট্টগ্রামে এই সাকিবের পাশে নাম লেখান সোহাগ গাজী। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস ও ৭৭ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এক সেশনেই ধসে গেল জিম্বাবুয়ে, ইনিংস ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের
সাকিব দ্বিতীয়বার এই কীর্তি গড়েন ২০১৪ সালে খুলনায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ব্যাট হাতে ১৩৭ রান করার পাশাপাশি বল হাতে দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন এক সময়ের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সব মিলিয়ে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের ঘটনা ৩৯ বার টেস্ট ক্রিকেটে দেখা গেছে। সর্বাধিক পাঁচবার এই কীর্তি গড়েছেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম। রবিচন্দ্রন অশ্বিনও চারবার এই কীর্তি গড়েছেন।