জয় যখন অনেক দূরের স্বপ্ন, তখন পার্লের বোলিং সহায়ক উইকেটে ১২১ রানের হার না মানা জুটি গড়েন সালমান এবং সাইম। অসাধারণ ব্যাটিং শৈলী এবং দারুণ পরিপক্বতায় গড়া এই জুটিতেই প্রোটিয়াদের হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১০৯ রানে সাইম যখন আউট হন তখন জয় থেকে কেবল ৩৯ রান দূরে পাকিস্তান, হাতে ৫ উইকেট এবং ৫২ বল। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলেও এখান থেকে আবার বিপদের আশঙ্কা দেখা দেয়। কাগিসো রাবাদা, তাবরাইজ শামসিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সাইমের বিদায়ের পর ৮ রানের ব্যবধানে আরও ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
তবে সালমান শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন। অষ্টম উইকেটে নাসিম শাহকে নিয়ে গড়েন ৩৩ রানের জুটি। ম্যাচের শেষ বাউন্ডারিটি মেরে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এই অলরাউন্ডার। ৯০ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন সালমান। বল হাতেও তিনি সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকারি। তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতেই।
সালমানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের দেয়া ২৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জিতেছে পাকিস্তান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার টনি ডি জর্জি এবং রায়ান রিকেল্টনের ব্যাটে ভালো শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ারপ্লেতে ৭০ রান তুলে বড় সংগ্রহের আভাসও দিয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে এরপর পাকিস্তানের দুই স্পিনার সালমান আঘা এবং আবরার আহমেদের ঘূর্ণিতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
দশম ওভারে দলীয় ৭০ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টনি জর্জিকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু আনেন সালমান। এই উইকেটের পর ১৮ রানের ব্যবধানে আরও ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ৩ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছেন আঘা।
পঞ্চম উইকেটে হেনরিখ ক্লাসেন এবং অ্যাইডেন মার্করাম ৭৩ রানের জুটি গড়ে আবারও বড় সংগ্রহের আভাস দেন। দলীয় ১৬১ রানে সাইমের শিকার হয়ে ফেরেন মার্করাম। পরের উইকেটে আবার ৫০ রানের জুটি গড়েন ক্লাসেন এবং মার্কো জেনসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় সংগ্রহ যখন ২১১, তখন আউট হন জেনসেন। এরপর হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন। লম্বা সময় ব্যাটিং করা ক্লাসেনও শেষটা রাঙাতে পারেননি। ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৯৭ বলে ৮৬ রান করে আউট হন তিনি। শেষ ১০ ওভারে কেবল ৩৯ রান করতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাকিস্তানের হয়ে সালমান নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন আবরার আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে সাইম আর শাহিন আফ্রিদির ঝুলিতে।