ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানা যায়, হামলাকারীর ছয়বার ছুরিকাঘাতের মধ্যে মেরুদণ্ড ও ঘাড়ের দুটি জখম গুরুতর।
এ প্রসঙ্গে লীলাবতী হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়োলজিস্ট নিশা গান্ধী বলেন, ‘সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম’ (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র) থেকে মাত্র ২ মিলিমিটার দূরে ছুরিকাঘাত করেছিল দুষ্কৃতকারী। মেরুদণ্ডে আঘাতের কারণে সেরিব্রোস্পাইনাল তরল ক্ষরণ হয়েছে। যা এখন চিন্তার কারণ।
নিশা আরও বলেন, সেরিব্রোস্পাইনাল তরল ক্ষরণ হওয়ায় ক্ষতস্থানে ঘা শুকিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে এখন। রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা হয়েছে। হাঁটাচলা করতে নিষেধ করা হয়েছে। যদিও এ মুহূর্তে তিনি অল্প পরিসরে হাঁটাচলা করছেন।
কবে হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন অভিনেতা এমন প্রশ্নে এখনও কোনো সমাধানে আসতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। সাইফের শারীরিক পরিস্থিতি আরও কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে তবেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এমনটাই জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ২টা নাগাদ বাড়ির বাইরের একটি পাইপ বেয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকে হামলাকারী। গভীর রাতে সাইফ ও তার স্ত্রী বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের দুই সন্তান তৈমুর ও জেহরের রুমে ঢোকে। হামলাকারীর উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির পরিচারিকা ইলিয়ামা ফিলিপ আলিয়াস লিমা চিৎকার করে ঘুমিয়ে থাকা পরিবারের সদস্যদের জাগিয়ে তোলেন।
আরও পড়ুন: সাইফের ওপর হামলার নতুন মোড়!
এরপর লিমা চিৎকার করায় হামলাকারী প্রথমে তাকেই ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। ডান হাতের কবজিতে আহত হওয়ায় লিমার চিৎকার শুনে পাশের রুম থেকে বেরিয়ে আসেন সাইফ। সঠিক সময়ে দুই সন্তান ও পরিচারিকাকে বাঁচাতে সিনেমার নায়কের মতোই সাইফ ঝাঁপিয়ে পড়েন হামলাকারীর ওপর। এতে হামলাকারী ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছয়বার আঘাত করেন অভিনেতাকে।
আরও পড়ুন: সাইফের ওপর হামলা, একজন আটক
হামলার শিকার সাইফকে দ্রুত ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারের পর শঙ্কামুক্ত সাইফকে প্রথমে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে স্থানান্তর করা হয়। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও মেরুদণ্ডের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ক্ষত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ মুহূর্তে তাই লীলাবতী হাসপাতালেই চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন অভিনেতা।
]]>