সাইপ্রাসে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত

৬ দিন আগে
সাইপ্রাসে নির্মাণ কাজের সময় ছাদ থেকে পড়ে হাফিজুর রহমান (৪৫) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

তিনি যশোর জেলাধীন বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। ৬ দিন অসুস্থ থেকে অবশেষে গতকাল রাতে তিনি মারা যান। মাত্র ১৩  দিন আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপের দেশ সাইপ্রাসে। এদিকে তার অকাল মৃত্যুতে একদিকে স্বজন হারানো বেদনা অন্যদিকে রেখে যাওয়া দেনা পরিশোধের চিন্তায় অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবার।


জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম পুটখালি। এক সময় ভারতীয় গরুর ব্যবসা ছিল এখানকার মানুষের আয়ের প্রধান উৎস। তাতে সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ গরু আসা। সংসার চালাতে তাই এখানকার অনেকে পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশ।


হাফিজুরের স্বজনরা জানান, হাফিজুর তার এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে গত ৯ সেপ্টেম্বর যায় সাইপ্রাসে। বিদেশ যেতে তার খরচ হয়েছে ১২ লাখের মত। এর মধ্যে ৭ লাখ তিনি মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। বিদেশে পৌঁছে ১৭ সেপ্টেম্বর একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসাবে কাজে যোগ দেন। তবে প্রথম দিনেই তিনি কাজ করার সময় অসাবধানতা বসত ৭ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ৬ দিন চিকিৎসাধীন থেকে মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।


আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি স্নাইপারের গুলিতে ইসরাইলি সেনা নিহত


বেনাপোলের পুটখালি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য তানজিলা খাতুন জানান, মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লো। সংসারের অভাব কাটাতে বিদেশ যান তিনি। তাকে হারিয়ে নিঃস্ব পরিবার। মরদেহ যাতে দ্রুত ফেরত আসে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

 

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, নিহতের পরিবারকে সরকারের আর্থিক সহায়তা করা হবে। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করতে হবে। দ্রুত যাতে তার মরদেহ দেশে ফেরত আসে সে বিষয়েও সহযোগিতা করবে উপজেলা প্রশাসন।


স্থানীয় তথ্য বলছে, হাফিজুর ছাড়াও গত এক বছরে বিদেশে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত হয় বেনাপোল সীমান্তের বাসিন্দা আসাদুল, রুবেল,
রনি, জুবায়ের, জাহিদ, শাহাজান কবীর ও মুকুল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন