রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জুলাই গবেষণা কেন্দ্রের মুখপাত্র অপু মেহেদী এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে জানানো হয়, সাংবাদিক আলমগীর কবীর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস গবেষক। গবেষণা ও সাংবাদিকতায় তিনি প্রশংসিত। সংবাদ প্রকাশের জেরে বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টির নামে (বিআরপি) প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সাংবাদিক আলমগীর কবীরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যে বানোয়াট মামলা করা হয়েছে তা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কণ্ঠরোধ করার শামিল। একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা বিস্ময়কর ও নিন্দাজনক। একই অভিযোগ দেখিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা, খুলনা, পাবনা, ঝিনাইদহের আদালতে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ১০ এর অধিক জিডি ও মামলা করেছে দলটি। এ ধরনের মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি দেখানোর শামিল।
আরও পড়ুন: একই মামলায় ভিন্ন সিদ্ধান্ত: বেরোবিতে একজনের ছুটি আটকা, আরেকজনের পদোন্নতি
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানবিরোধী শক্তিরা রাজনৈতিক ফায়দা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি গঠন করেছে। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ডিবি হারুনের সোর্স খ্যাত পলাতক আসামি মো. তহিদুল ইসলাম। দলের মহাসচিব তহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর থানায় গণহত্যার একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া পল্লবী থানা এলাকায় ১৫ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা ছাপানোর কারখানাসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। বিদেশে পলাতক এই আসামি হত্যা মামলাসহ যাবতীয় কৃত অপরাধের নজর এড়াতে তার অনুগত মামলাবাজ চক্রকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিক আলমগীর কবীরের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করে যাচ্ছে।
জুলাই গবেষণা কেন্দ্র (জেআরসি) অবিলম্বে এ সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছে। পাশাপাশি মামলাবাজ চক্রের সব সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।