বুধবার (১ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ার ৭৭তম জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে এ বাজেটের কথা জানান প্রেসিডেন্ট।
দেশটির দক্ষিণ চুংচেওং প্রদেশের সামরিক ঘাঁটিতে জাঁকজমকপূর্ণ সামরিক কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। সেখানে সামরিক বাহিনীর প্রায় ৪০ ধরনের ১০০ ইউনিট অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও ছিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, যুদ্ধবিমান, ট্যাংক ও সামরিক প্রযুক্তি।
১৯৪৮ সালের এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকার ও দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে প্রতি বছরের ১ অক্টোবর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করে দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক হিসেবে সেনাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। দেশের নিরাপত্তা, কোরিয়ান উপদ্বীপে শান্তি ও উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলার অঙ্গীকারে অন্য কারও ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বরং নিজস্ব শক্তিকে শক্তিশালী করতে করতে বলেন প্রেসিডেন্ট লি।
আরও পড়ুন: গোপনে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের প্রস্তুতি ট্রাম্পের, জিনপিং ও কিমের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন!
তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে সহযোগিতা আর সমৃদ্ধির গতি দুর্বল হয়ে পড়ছে। মনে হচ্ছে আমরা ধীরে ধীরে সংঘাতের যুগে প্রবেশ করছি, যেখানে প্রতিটি মানুষ কেবলই নিজের জন্য। কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের শান্তি এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে, আমাদের অন্য কারও ওপর নির্ভর না হয়ে বরং নিজস্ব শক্তিকে শক্তিশালী করতে হবে।’
আত্মরক্ষার ক্ষমতা বৃদ্ধির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত যুদ্ধ রোবট, ড্রোন এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিনিয়োগের কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লি। আগামী বছরের প্রতিরক্ষা বাজেটে ৮ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৪৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট লি।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক শান্তি মিশনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এবার দিবসটির তাৎপর্য আরও বেড়েছে। কোরিয়ান উপদ্বীপ ১৯৪৫ সালে জাপানি উপনিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দক্ষিণ অংশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ১৯৪৮ সালের ১ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
]]>