গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মাদ্রিদ ডার্বিতে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ। হুলিয়ান আলভারেজের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে হার এড়ায় রিয়াল।
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে হার এড়ানো গোলটি করে মাইলফলক ছুঁয়েছেন এমবাপ্পে। এই গোলটি করে ক্যারিয়ারে ৫০০ গোলে অবদান রাখার মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই ফরাসি তারকা।
এই মাইলফলক ছোঁয়ার পথে এমবাপ্পে পেছনে ফেলেছেন রোনালদো, মেসি, নেইমার জুনিয়রদের। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ৫০০ গোলে অবদান (গোল+অ্যাসিস্ট) রেখেছেন এই ফরাসি। তার চেয়ে কম বয়সে এই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি আর কোনো ফুটবলারই।
আরও পড়ুন: খেলোয়াড় বিক্রিতে সবচেয়ে বেশি আয় চেলসির

এমবাপ্পে এখন পর্যন্ত মোনাকো, পিএসজি, রিয়াল মাদ্রিদ এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে সর্বমোট ৩১৩টি গোল করেছেন। তার নামের পাশে আছে ১৮৭টি অ্যাসিস্ট।
২৬ বছর বয়সে রোনালদো স্পোর্তিং সিপি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ এবং পর্তুগালের জার্সিতে ৩০২ গোলে অবদান রাখতে পেরেছিলেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের প্রাইমে পৌঁছানোর পর রোনালদো অবিশ্বাস্য গতিতে তার পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ করেছেন।
একই বয়সে মেসি অবশ্য রোনালদোর চেয়ে অনেকাংশেই এগিয়ে ছিলেন। বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার জার্সিতে সেই বয়সেই মেসি ৪৮৬ গোলে অবদান রেখেছিলেন।
তবে নেইমার ২৬ বছর বয়সে মেসির চেয়েও এগিয়ে ছিলেন। সান্তোস, ব্রাজিল, বার্সেলোনা এবং পিএসজির জার্সিতে নেইমার সে বয়সে ৪৯২ গোলে অবদান রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে থাকছেন না রিয়ালের ‘বিপদের বন্ধু’ ভাসকেজ

এমবাপ্পে ফরাসি ক্লাব মোনাকোয় অল্প বয়সেই সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ১৬ বছর ৩৪৭ দিন বয়সে মোনাকোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে তার অভিষেক হয়। ২০১৭ সালে মোনাকো ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেয়ার আগেই ২৭টি গোল এবং ১৫টি অ্যাসিস্ট করেন এমবাপ্পে।
এরপর পিএসজিতে ২০২৪ পর্যন্ত ৩০৮টি ম্যাচ খেলে ২৫৬ গোল এবং ১০৬টি অ্যাসিস্ট করেন এমবাপ্পে। ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের মালিক তিনিই। গত বছর জুলাইয়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার পর এখন পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচে ২৩ গোল এবং ৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে ফেলা এমবাপ্পে এখন পর্যন্ত ৮৬ ম্যাচে ৪৮ গোল করেছেন।
]]>