শিশু আছিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন: প্রেস উইং

৭ ঘন্টা আগে
মাগুরায় শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। আজও দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

 

প্রেস উইং থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, দ্বিতীয় বার প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেয়ার পর রিভার্স করেছে। ব্রেন ফাংশন কাজ করছে না; জিসিএস (কোমা) লেভেল ৩। রক্তচাপ ও অক্সিজেন লেভেল অনেক কম।

 

এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক- এ কথা জানিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে শিশুটির জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়। তারা জানায়, তার একদিনে চার বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে।  

 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) চিকিৎসাধীন। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদানুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: দোয়া চেয়েছে সেনাবাহিনী /মাগুরার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন, একদিনে চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’

 

শিশুটি বুধবার একদিনে চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে ও পিসিআর দেয়ার মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০, যা আরও নিম্নমুখী। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

গত ৮ মার্চ সন্ধ্যা ছয়টায় শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি হয়। শিশুটির সুস্থতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী।  ৬ মার্চ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওই দিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক)। এরপর ৭ মার্চ রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে ৮ মার্চ সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।

 

শিশুটির চিকিৎসায় সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে রয়েছেন সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদ্‌রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ, থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকেরা।

 

শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার চার আসামির মধ্যে তিনজন পুরুষের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এরইমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে তিন আসামিকে মাগুরা থেকে ঢাকায় সিআইডির ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবে আনা হয়। একই সঙ্গে শিশুটির ডিএনএ নমুনাও জমা দেয়া হয়।

 

মাগুরার এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনা চলছে। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন