বিএডিসির ঢাকার মিরপুর খামার এলাকার বীজতলা নিয়ে চলছে এ দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অথৈ জলে টইটুম্বুর বিস্তীর্ণ এলাকা। দেখে খাল মনে হলেও এটিই বিএডিসির বীজতলার জন্য বরাদ্দকৃত জমি। শুধু বীজ উৎপাদন নয়, এখানেই বীজ নিয়ে গবেষণাও নাকি করেন তারা। তবে দেখা মেলেনি বীজ উৎপাদনের কৃষি সরঞ্জামের। উল্টো একাধিক নৌকা আর জলের মধ্যে জাল ও দড়ি ইঙ্গিত দিচ্ছে মাছ চাষের। এক প্রান্তে নৌকাযোগে মাছকে খাবার দেয়ার চিত্রও ধরা পড়ে সময় সংবাদের ক্যামেরায়।
এ সময় সেখানে মাছ চাষে নিয়োজিত কর্মীরা জানান, কোনো ধরনের বীজ নয়, রীতিমতো তেলাপিয়া, রুই আর পাঙ্গাস মাছের চাষ হয় এখানে।

আরও পড়ুন: ২৭ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা: মুখোমুখি বিটিআরসি-আইওএফ
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের বীজ উৎপাদনের জমি দখলে নিয়ে, মাছ চাষে প্রভাবশালীদের চক্রের তথ্য উঠে আসে স্থানীয়দের বক্তব্যে। সময় সংবাদের হাতে আসা এক ভিডিও ফুটেজেও দেখা যায় সে চক্রের কার্যক্রম। স্থানীয় বিএনপি নেতা বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে বিএডিসির কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এই মাছ চাষ চলছে বলে জানা যায়।
তবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত বাবুল মিয়া। তবে ফোনে তিনি জানান মাছ চাষ তিনি করছেন। বলেন, বিএডিসির সঙ্গে কথা বলেই মাছ চাষ চলছে। আর এ কাজে তাদেরও সমর্থন রয়েছে। তারা বলেছে পানি যেহেতু আছে, পোনাও ছেড়েছেন, তাহলেও চাষ করে ফেলেন।

শুধু এ বছর নয়, এলাকাবাসী বলছেন অবৈধ অর্থের বিনিময়ে বিগত বছরগুলোতেও বীজ উৎপাদন ও গবেষণার জায়গাটি ক্ষমতাসীনদের ভাড়া দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিএডিসির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আমানতকারীদের অর্থের কী হবে?
তবে ক্যামেরার সামনে সবকিছুই অস্বীকার করলেন মিরপুর বীজ উৎপাদন খামারের প্রধান কামরুল ইসলাম খান।
অবশ্য কিছুক্ষণ পরেই গোমর ফাঁস করেন ওই কর্মকর্তা। তিনি জানান, আসলে এসব কাজ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশেই হয়ে থাকে। এটি বৈধভাবে লিজ দেয়ার চেষ্টা তিনি করেছিলেন। তবে ঊর্ধ্বতনদের কারণে তিনি এটি করতে পারেননি।
]]>