সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের গৃহীত কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা অবহিতকরণ’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদাসা শিক্ষা বিভাগ। আগে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালু ছিল। ২০১৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এ পদ্ধতি বাতিল করে জিপিএ অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম চালু করে। এ নিয়ম বাদ দিয়ে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানো হচ্ছে।
ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, নতুন ব্যবস্থায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ নম্বর থাকবে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী) পরীক্ষায়, বাকি ৩০ নম্বর একাডেমিক ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
মতবিনিময় সভায় সচিব খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, কারিগরি শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করে তাদের ভর্তি নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রকৃত আগ্রহী ও যোগ্য শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষায় যুক্ত হতে পারবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে কর্মবিরতি /শিক্ষার্থী এলেও হচ্ছে না ক্লাস
তিনি বলেন, বর্তমানে এসএসসি পাস করলেই সরাসরি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এ ব্যবস্থায় অনেক সময় অপ্রস্তুত বা অনাগ্রহী শিক্ষার্থীরাও ভর্তি হয়, যার প্রভাব কোর্সের ফলাফল ও শিক্ষার মানের ওপর পড়ে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুধু প্রস্তুত ও দক্ষ শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হবে। নতুন এ ব্যবস্থা কারিগরি শিক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শামসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (মাদরাসা) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি) রেহানা ইয়াছমিন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন, আইডিইবির আহ্বায়ক প্রকৌশলী কবির হোসেন, সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইরাব) সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান প্রমুখ। এছাড়া সভায় কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ১২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।