বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
পত্রে উপদেষ্টা বলেন, 'সম্প্রতি নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা ও অবৈধ সুবিধা নেয়ার লক্ষ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আমার আত্মীয় পরিচয় বা নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করছেন, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এতে আমার সুনাম বিনষ্ট হচ্ছে।'
আধা-সরকারি পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন দফতরে সুপারিশ-সংবলিত আবেদন দাখিল করা করা হচ্ছে, যা ইতোমধ্যে উপদেষ্টার গোচরীভূত হয়েছে। কেউ উপদেষ্টার আত্মীয় পরিচয় বা নাম ব্যবহার করে কোনো কাজ উদ্ধারের চেষ্টা করলে তা বিবেচনার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা নাহিদের সই 'জাল' করে সিইও হবার চেষ্টা
কোনো প্রতিষ্ঠান ও আওতাধীন দফতর-সংস্থায় এ ধরনের কোনো তদবির হলে কিংবা উপদেষ্টার স্বাক্ষর নকল বা জাল করে কোনো আবেদন দাখিল করা হলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের একান্ত সচিব (উপসচিব) র. হ. ম. আলাওল কবিরকে অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে আধা-সরকারি পত্রে আরও জানানো হয়েছে, রাষ্ট্র সংস্কারের সুবিশাল কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নে উপদেষ্টা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের স্বাক্ষর করা সুপারিশপত্র ব্যবহার করে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আরেক মেয়াদে নিয়োগের জন্য বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে আবেদন করেছেন কামরুল হাসান খন্দকার। তবে উপদেষ্টার স্বাক্ষর করা সুপারিশপত্রটি জাল বলে জানা গেছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মুহম্মদ জসীম উদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় তার সব ডিওতে বাংলায় স্বাক্ষর করেন। তবে সুপারিশপত্রটিতে ইংরেজিতে করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ জাল। এ বিষয়ে সবাই সতর্ক থাকবেন।