৩ সপ্তাহ আগে
৯
সোমবার (১৯ মে) সকালে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের গড়াই নদীর লক্ষীপুর ঘাট এলাকা থেকে গাছগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা।
পরে পুলিশ গিয়ে গাঁজার গাছগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। তবে কে বা কারা গাঁজার গাছগুলো লাগিয়েছিল এ বিষয়ে কিছু জানতে পারেনি তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্ধার করা গাঁজার গাছগুলো ইউনিয়নের কেওয়াগ্রাম বাজার সংলগ্ন একটি ঈদগাহ্ মাঠে রাখা হয়েছে। প্রতিটি গাছের উচ্চতা প্রায় ৬ থেকে ৮ ফিট।
এ সময় প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক সবুজ বলেন, গড়াই নদীর লক্ষীপুর ঘাট এলাকায় গাঁজার গাছ রয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি পর আজ সকালে নদীর তীর থেকে গাঁজার গাছগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেখানে গাছগুলো চাষ করা হয়েছিল, নাকি এমনিতেই জন্মেছিল এ বিষয়ে আমরা কিছু জানতে পারিনি।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে দুটি গাঁজা গাছসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
মিলন নামের এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, আমরা প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা এলাকায় মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকি। এর আগেও একজনকে মাদকসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। আজকে আমরা প্রায় অর্ধশত গাজার গাছ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এই মাদক বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় বিভিন্ন মহল থেকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে আমাকে হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। আমার নামে মামলা দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, আমাদের এলাকার প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীরা অনেকগুলো গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে। এর আগেও ওরা একজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে পুলিশে দিয়েছিল। এলাকায় ওরা অনেক ভালো কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে দুটি গাঁজা গাছসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ৪১ টি গাঁজার গাছ জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কে বা কারা গাঁজার গাছগুলো লাগিয়েছিল এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। গাঁজার গাছের মালিক পেলে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·