মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাফরুল থানার ইব্রাহিমপুর এলাকা থেকে মূলহোতা জোসনা খাতুনকে (৩৫) সিআইডি ঢাকা মেট্রো পূর্ব বিভাগের একটি টিম গ্রেফতার করে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জোসনা খাতুন নড়াইল জেলার দলজিৎপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পল্টন থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি। মামলাটি গত ২ জুলাই দায়ের করা হয়, যেখানে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এর আগে একই মামলায় চক্রের আরেক সক্রিয় সদস্য মিলন মিয়াকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিআইডির তদন্তে জানা যায়, প্রতারক চক্রটি প্রথমে বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিত। পরে তাদের হাতে ধরিয়ে দিত জাল ভিসা। অনেকের পাসপোর্ট আটকে রেখে ভোগান্তিতেও ফেলা হতো। পাশাপাশি সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঢাকার বাহিরে এ চক্রের নেটওয়ার্ক ফরিদপুর, নড়াইল, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিস্তৃত ছিল।
আরও পড়ুন: ইতালিতে ভুয়া ভিসায় লোক পাঠিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা!
ইতালিতে লোক পাঠানোর নামে শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। প্রতারণালব্ধ অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনেরও তথ্য পাওয়া গেছে।
সিআইডি আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত জোসনা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি শুধু বিদেশে চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতিই দেননি, বরং সরকারি পদে বসানোর প্রলোভন দেখিয়েও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে।
বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম সিআইডি ঢাকা মেট্রো পূর্ব বিভাগ পরিচালনা করছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।