সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দলকে নিয়ে পাক প্রেসিডেন্টের ডিনার

৩ দিন আগে
গত আগস্টে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর ছিল স্মরণীয়। টেস্টে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রায় ১০মাস পর দ্বিতীয়বার দেশটিতে সফরে গিয়ে বিস্মরণযোগ্য ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হেরে এখন হোয়াইটওয়াশ হওয়ার অপেক্ষায় লিটন দাসের দল। পাকিস্তান সফরে কঠিন সময়ের মধ্যে এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি এসেছিল গতকাল। খেলার বাইরে দারুণ সময় কাটিয়েছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টির আগে গতকাল শনিবার (৩১ মে) দুই দল যোগ দিয়েছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির ডিনার অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্রিকেটার ও অফিসিয়ালদের খেলোয়াড়ি মনোভাব এবং আঞ্চলিক বন্ধুত্ব আরও নিবিড় করতে পারস্পরিক চেনাজানা বাড়াতে পাকিস্তানের ফেডারেল সরকারের মন্ত্রী ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি এই ডিনার আয়োজন করেছিলেন।


প্রেসিডেন্ট জারদারি দুই দলের খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং সিরিজে পাকিস্তান দলের দারুণ পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ইতিহাসিক সম্পর্কের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন, যা উভয় দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।


তিনি বলেন, 'আমি সেই প্রজন্মের যারা এই বিচ্ছেদের সাক্ষী। আজকের প্রজন্মের ছেলেরা হয়ত এই বিচ্ছেদের যন্ত্রণা পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারবে না।'


আরও পড়ুন: বাংলাদেশ কি হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারবে


এ সময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি বাংলাদেশিদের 'এই অঞ্চলের অন্যতম সমৃদ্ধ জাতি' আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন, 'দুই দেশকে আরও কাছে আনতে কাজ করা দরকার। আমাদের অবশ্যই দুই দেশের মানুষের কল্যাণের দিকে মনোযোগী হতে হবে।'


 

President of Pakistan Asif Ali Zardari, hosted a reception in honour of the Pakistan and Bangladesh cricket teams, along with match officials, at the Governor's House in Lahore. pic.twitter.com/k7FI8tIYy1

— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) June 1, 2025


বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে আলোকপাত করে প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, এটি (বাংলাদেশ) এখন বিশ্বের কাছে সফল একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃত এবং পাকিস্তানের মতোই প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। তিনি উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য বিস্তৃত সুযোগ চিহ্নিত করতে এবং তা ব্যবহার করতে উত্সাহিত করেছেন, 'আমাদের তরুণদের অবশ্যই পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে এবং খেলাধুলা এই যোগাযোগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।'


অনুষ্ঠানটি আশাব্যাঞ্জক সুরে শেষ হয়, যেখানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন