এই ম্যাচ দিয়ে প্রায় দুই মাস পর সান্তোসের প্রথম একাদশে ফিরেছিলে নেইমার। কিন্তু ম্যাচে কোনো গোল বা অ্যাসিস্ট করতে পারেননি তিনি। এএস লিখেছে, ‘একাদশে ফেরার নেইমারকে দেখে মনে হচ্ছিল ধীর, ছন্দহীন, এমনকি মাঝে মাঝে সতীর্থদের খেলাকেও ব্যাহত করছিলেন। বাধ্য হয়ে বদলি হিসেবে তুলে নেওয়া হলে তিনি প্রতিবাদ করেন। দ্রুত ফর্ম ফিরে না পেলে পরের বিশ্বকাপে ব্রাজিল জার্সি গায়ে চাপানো তার জন্য কঠিন হবে।’
চোটের কারণে সান্তোসের হয়ে টানা সাতটি ম্যাচ মিস করার পর ফোর্তালেজার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে স্বল্পসময়ের জন্য ফিরেছিলেন নেইমার। সে ম্যাচে বেশ ভালো খেলেছিলেন। পরের ম্যাচেই আবার বিশ্রাম নেন। দীর্ঘ বিরতির প্রভাব পড়েছে ফ্লামেঙ্গোর বিপক্ষে তার পারফরম্যান্সে। তবুও ম্যাচে নেইমার কিছু ঝলক দেখিয়েছিলেন। একবার বিপজ্জনক ফ্রি-কিক ও আরেকবার হেডে গোল পাওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: টিকা না নেয়ায় আর্জেন্টিনা দল থেকে বাদ আলভারেজসহ তিনজন
শেষ দিকে তাকে তুলে নেয়া হলে নেইমার স্পষ্টভাবে রাগান্বিত হন এবং ম্যাচের বাকি অংশ ডাগআউটে বসে দেখতেও অস্বীকৃতি জানান। সান্তোসের এই হারে দলটি ৩২ ম্যাচ শেষে অবনমন অঞ্চলে নেমে গেছে। নিরাপদ অবস্থান থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে আছে তারা। ইএসপিএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌসুম শেষে সান্তোস অবনমিত হলে নেইমার ক্লাব ছেড়ে দিতে পারেন। ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জনও রয়েছে তার, যেখানে তার সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসি বর্তমানে খেলছেন। সান্তোসের সভাপতি মার্সেলো টেইশেইরা জানিয়েছেন, তিনি নেইমারকে রাখতে চান, তবে ক্লাবের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে রেফারিং নিয়েও নেইমার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোকে তিনি বলেন, ‘রেফারি খুবই খারাপ। খারাপই নয়, পুরোপুরি অহংকারী। প্রতিবারই তারা বলে ক্যাপ্টেনই শুধু কথা বলতে পারে। কিন্তু আমরা কথা বলতে গেলে তারা পিঠ ফিরিয়ে চলে যায়। আমি কথা বলতে গেলে তিনি আমাকে হুমকি দেন। এমনকি শুধু কাছে গেলেই আমাকে হলুদ কার্ড দেওয়ার হুমকি দেন। আমি বলেছিলাম, “আমি কি আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি না?”’
সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে প্রায় পুরোটা সময় চোটের সঙ্গে লড়াই করে নেইমার নিজের পুরনো ক্লাব সান্তোসে ফিরে আসেন, আশা ছিল ফর্ম ও ফিটনেস ফিরে পেয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলে জায়গা পাওয়ার। কিন্তু আনচেলত্তির সর্বশেষ ঘোষিত দলে তার নাম নেই। কোচ জানিয়েছেন, তিনি এখন চূড়ান্ত দল গঠনের ‘খুব কাছাকাছি’ এবং ইঙ্গিত দিয়েছেন, নেইমারকে তার খেলার পজিশন পরিবর্তন করতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের দল থেকে ছিটকে গেলেন মুয়ানি
আনচেলত্তি বলেন, ‘আমি মনে করি তাকে এখন কেন্দ্রীয় ভূমিকায় খেলতে হবে, উইঙ্গার হিসেবে নয়। কারণ আজকের ফুটবলে উইঙ্গারদের রক্ষণে সাহায্য করতে হয়, যা তার জন্য কঠিন। কেন্দ্রীয় পজিশনে খেললে সেই কাজ কম, আর গোল করার সুযোগ বেশি। আমি মনে করি, ‘ফলস ৯’ ভূমিকা তার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।’
নেইমার ও সান্তোসের সামনে এখন আরেকটি কঠিন পরীক্ষা, পরবর্তী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমানে লিগের শীর্ষে থাকা পালমেইরাস। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিল দল নেইমারকে ছাড়াই সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে।

১১ ঘন্টা আগে
১








Bengali (BD) ·
English (US) ·