মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগেরহাট শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি ও নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। ঢেঁড়স কেজি প্রতি ৬০ টাকা, টমেটো ১৪০, গাজর ১৪০, পটল ৭০, কাঁকরোল ৭০, বরবটি ৭০, মুলা ৬০, ফুলকপি ১৬০, বেগুন ১০০ এবং কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি পেঁপে কেজি ৩০, আমড়া ৪০, কচুর মুখি ৪০, শাকপাতা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৩০, লাউ আকার ভেদে ৪০-৬০, আর কচু ৬০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। মসলার বাজারেও স্বস্তি নেই। আদা ১৯০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০ টাকা, দেশি ১১০ টাকা পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারেও অস্থিরতা।
আরও পড়ুন: চড়া সবজির বাজার, মাছ-মুরগির খবর কি?
ইলিশ কেজি আকারভেদে ৭০০ থেকে তিন হাজার টাকা, রুই ও কাতল ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০, খাসির মাংস ১০৫০-১১০০, দেশি মুরগি ৪৫০, আর ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের বাজারেও আগুন-দেশি ডিম হালি ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
বাজার আসা ক্রেতা আলমাস বলেন, ‘আমাদের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনের বাজার খরচ আগের চেয়ে দ্বিগুণ। পাইকারি আর খুচরার দামের ফারাকের বোঝা আমাদেরকেই বহন করতে হচ্ছে।’
অন্যদিকে এক সবজি বিক্রেতা হাদি শেখ বলেন, আমরা জেনেশুনে দাম বাড়াচ্ছি না। পাইকারি আড়ৎ থেকে সবজি আনতেই বেশি দামে কিনতে হয়। পরিবহন খরচও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় চড়া মাছ-মাংসের বাজার, স্বস্তি ফিরছে সবজির দামে
বাজার করতে আসা রায়হান বলেন, ‘নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত। ভোক্তা অধিকার অধিদফতর যদি সপ্তাহে অন্তত একবার বাজার মনিটর করে, তাহলে শীতের সবজির দাম অর্ধেক হয়ে যেত।
বাগেরহাটের ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের সংরক্ষণ সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছি। তবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’