সমকালের প্রধান খবরের শিরোনাম— সব পক্ষকে তুষ্ট করে আদেশ
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতি যে আদেশ জারি করেছেন তাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) প্রায় সব রাজনৈতিক দলের দাবি সমন্বয় করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে (পিআর) উচ্চকক্ষ, সনদ অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ চার বিষয়ে একটি প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এতে 'হ্যাঁ-না' ভোট দেবেন ভোটাররা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়নে আদেশ জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। বেলা আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আদেশের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচন এবং গণভোট এক দিনে হবে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। এতে বিএনপির দাবি পূরণ হয়েছে। দলটি চেয়েছিল, গণভোট হবে সনদের সংস্কার প্রস্তাবে
দলগুলোর দেওয়া নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) অনুযায়ী। এ দাবি আংশিক পূরণ হয়েছে। দলীয় প্রধান পদে থাকতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী- এটিসহ ১০ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্ট অনুযায়ী বাস্তবায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে গণভোটে।

জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে— জামায়াতের এ দাবি পূরণ হয়নি। তবে পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন, সনদে বর্ণিত উপায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং প্রধানমন্ত্রী নন কমিটির মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ— সংক্রান্ত আট সংস্কার প্রস্তাব, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট উপেক্ষা করে গণভোটের সিদ্ধান্ত জামায়াতসহ আট দলের দাবি পূরণ করেছে।
জামায়াতের মতো এনসিপিরও দাবি ছিল— গণভোটে নোট অব ডিসেন্ট রাখা যাবে না। দলটির প্রধান দাবি ছিল, সংসদ নয়, গণপরিষদে সংবিধান সংস্কার হবে। সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুযায়ী, গণপরিষদের সমতুল্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী এমপিদের নিয়ে। এই পরিষদ ১৮০ দিনের মধ্যে গণভোটের ফলাফল অনুযায়ী সংস্কার করবে। এর মাধ্যমে এনসিপির প্রধান দাবি পূরণ হয়েছে।
জামায়াত ও এনসিপি আওয়ামী লীগ মনোনীত রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির বিরুদ্ধে ছিল। দলগুলোর দাবি ছিল, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ক্ষমতাবলে অন্তর্বর্তী সরকারকে আদেশ জারি করতে
হবে। সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তবে সরকার এ পথে যায়নি। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারি করা হয়। সংবিধানে নেই যুক্তিতে বিএনপি আদেশ জারির বিরুদ্ধে ছিল। দলটির দাবি ছিল, প্রজ্ঞাপন বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে গণভোট করতে হবে।
আদেশ জারির পর অন্যান্য দল স্বাগত জানালেও সতর্ক ছিল বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপি। তারা আদেশকে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করেনি।
প্রথম আলোর প্রথম পাথার খবর— ঢাকায় কড়া নিরাপত্তা, পদ্মার ওপারে মহাসড়ক অবরোধ
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনলাইনে ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রবেশমুখসহ পুরো রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ঢাকার কোথাও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তৎপরতা ছিল না। পদ্মা সেতুর ওপারে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তারা।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।
একইদিন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ছিলো। কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা শুরু হয়। পুলিশ বলছে, জনমনে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এসব নাশকতামূলক কার্যক্রম চালিয়েছে। এর মধ্যে সোম, মঙ্গল ও বুধবার ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ২০টি বাসে আগুন দেয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রাজপথে আওয়ামী লীগের কোনো তৎপরতা না থাকলেও আগের কয়েক দিনের চোরাগোপ্তা হামলার কারণে গতকাল অনেক মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বের হননি। ফলে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হলেও ঢাকার কোথাও যানজট ছিল না। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা।
পুলিশের বরাতে প্রথম আলোর শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার সড়কের ৫টি স্থানে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তারা গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে চার ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গার সুয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা অবরোধের ফলে ৫ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো। এছাড়া ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতু সংযুক্ত ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের দুটি অংশে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দেওয়ায় কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিলো।
বণিক বার্তার শেষের পৃষ্ঠার প্রধান খবরের শিরোনাম- বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ/ দক্ষিণ এশিয়ায় আক্রান্তের হারে দ্বিতীয় বাংলাদেশ
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের (২০-৭৯ বছর) মধ্যে ১৩ দশমিক ২ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে এ সমস্যায় ভুগছেন।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (আইডিএফ) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল পাকিস্তানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্তের হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে আক্রান্তের হার বাংলাদেশেও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম। আইডিএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ কোনো না কোনোভাবে এ সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমান ধারায় চলতে থাকলে ২০৪৫ সালে দেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হবে ২ কোটি ২৩ লাখ। তবে দেশের ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের রোগ নির্ণয় হচ্ছে না বলে জানায় আইডিএফ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত ফাস্টফুড ও চর্বিযুক্ত খাবার খেলে, শারীরিক পরিশ্রম ও নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে, মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি ফেইলিউর, অন্ধত্ব ও অঙ্গচ্ছেদের মতো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী অসুখের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকা সম্ভব। তার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা, সুষম খাদ্য খাওয়া, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ ও ইনসুলিন গ্রহণ, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে হবে।
যুগান্তরের নগর-মহানগর পাতার খবর- বেরোবিতে ভয়াবহ জালিয়াতি/ ভুয়া শিক্ষা সনদে চাকরি করছেন ১২ কর্মকর্তা
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এক ডজন কর্মকর্তা ভুয়া শিক্ষা সনদে চাকরি করছেন। তাদের অনেকেই কয়েক ধাপে পদোন্নতিও পেয়েছেন। এসবই হয়েছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বেরোবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল মিয়ার সময়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়া উপাচার্য হিসাবে দায়িত্বকালে ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর ছয় মাসের অস্থায়ী চুক্তিতে ‘হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ দেন তার ভাই মাহবুবার রহমানকে। স্থয়ী হওয়ার পর কয়েক ধাপে পদন্বতি পেয়ে ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল উপরেজিস্ট্রার হন তিনি। অনুসন্ধানে দেখা যায়, মাহবুবার রহমান ২০০৯ সালে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স পাশ করার যে শিক্ষা সনদ দিয়ে চাকরি করছেন, এটি ভুয়া। বেরোবি কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে দারুল ইহসান কর্তৃপক্ষ গত ১৮ অক্টোবর জনায়, এই শিক্ষা সনদ তারা ইস্যু করেনি।

সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মাহবুবার রহমানের মতো এমন উচ্চপদস্থ আরও এক ডজনের বেশি কর্মকর্তা ভুয়া শিক্ষা সনদে বেরোবিতে চাকরি করছেন। ইতোমধ্যে পাঁচজনের সনদ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়ায় তাদের পদোন্নতি স্থগিত করেছে সিন্ডিকেট সভা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, চাকরিতে যোগদানের পর প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ যাচাই করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে তারা কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চাকরি করে আসছেন।
উপরেজিস্ট্রার মাহবুবার রহমান বলেন, আমি যখন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে চাকরিতে যোগদান করেছি, তখন ওই পদের জন্য এই সার্টিফিকেট দরকার ছিল না। যখন পদোন্নতি পাই, তখন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু অভ্যন্তরীণ প্রার্থীর ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হয়েছিল। শিক্ষা সনদটি সঠিক নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী বলেন, আমি নিজেই বিস্মিত এমন তথ্য অবগত হওয়ার পর। ইতোমধ্যে আমরা একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। যাদের শিক্ষা সনদ ভুয়া, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেরোবির দ্বিতীয় উপাচার্য হিসাবে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি যোগদান করেন অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়া। মেয়াদপূর্তির আগেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি উপাচার্যের পদ থেকে ২০১৩ সালের ৭ মে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার সময়কালে তিনি বেরোবির একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন।
মানবজমিনের শেষের পাতার খবর- হাসিনা ফিরতে চান, তবে...
এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, তিনি দেশে ফিরতে চান। তবে এর আগে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণ-মূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
দিল্লির এক অজ্ঞাত স্থান থেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখানে আমি স্বাধীনভাবে দিন কাটাতে পারি। যুক্তিসঙ্গত সীমার মধ্যে যা ইচ্ছা তা করতে পারি।’

অভ্যুত্থান সম্পর্কে হাসিনা বলেন, বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। হঠাৎ করেই তা অন্য রূপ নেয়। তার দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, এগুলো সঠিক নয়, প্রতিপক্ষের তৈরি।

৩ দিন আগে
৫








Bengali (BD) ·
English (US) ·