সব আবদার পূরণ করছেন, সন্তানের ভবিষ্যতের ক্ষতি ডেকে আনছেন না তো?

১ দিন আগে
শিশুরা কখন কী চায়, তা বোঝা প্রায় অসম্ভব। এক মুহূর্তে চকলেট, পর মুহূর্তে নতুন খেলনা। না পেলেই কান্নাকাটি, চিৎকার। এমন পরিস্থিতিতে অনেক বাবা-মা শান্তির জন্য সন্তানের সব আবদার পূরণ করে ফেলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে সব চাওয়া মেনে নেওয়া ঠিক নয়। এতে শিশু শিখে ফেলে—চাইলেই সব পাওয়া যায়। বাড়ে চাহিদা, বাড়ে জেদ। আর এই জেদই একসময় পরিণত হয় এক বিপজ্জনক অভ্যাসে।

 

সন্তানের আবদার মেটানোর আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—

 

প্রয়োজন না অহেতুক বায়না?

 

শিশু যে জিনিসটি চাইছে, সেটি আদৌ তার প্রয়োজন কিনা, তা ভাবুন। শুধু আবেগে ভেসে নয়, যুক্তি দিয়ে বিচার করুন; জিনিসটি তার জন্য জরুরি কি না।

 

ব্যবহারযোগ্যতা মূল্যায়ন করুন

 

যেটা কিনে দিচ্ছেন, সেটা সে কতদিন ব্যবহার করবে? কিছু খেলনা বা সামগ্রী হয়তো একদিনের মধ্যেই ঘরের কোণে পড়ে থাকবে। এমন জিনিস কেনা থেকে বিরত থাকুন।

 

আরও পড়ুন: সকালে কয়েকটি কিশমিশ খেলেই মিলবে ৮ উপকার!

 

টাকার মূল্য শেখান

 

শিশুর টাকার মূল্যবোধ থাকে না, এটাই স্বাভাবিক। তাই সে যা চায়, তা আগে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী কিনতে পারবেন কি না, ভাবুন। সব আবদার জোর করে পূরণ করলে সে কখনও অর্থের গুরুত্ব বুঝবে না।

 

নিয়মের মধ্যে আবদার পূরণ করুন

 

প্রতিদিন কিছু চাওয়ার মানেই তা পূরণ করা নয়। মাসে একবার কিংবা নির্দিষ্ট সময় পরপর কিছু কিনে দিন। এতে সে শেখে, সবকিছুরই একটা নিয়ম রয়েছে।

 

নিজের সিদ্ধান্তে আত্মবিশ্বাস রাখুন

 

কোনো আবদার মেটানোর আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমি যা করছি, তা কি ঠিক? যুক্তি-বুদ্ধির সাথে বিচার করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।

 

বর্তমান সমাজে শিশুরা অনেক বেশি নিজের মত প্রকাশ করতে পারে। তাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হচ্ছে জেদ, দাবি। এই বাস্তবতায় প্রতিটি চাওয়া পূরণ করলে তারা ভাববে, জীবন মানেই সবকিছু পাওয়া। কিন্তু জীবন তো তা নয়। তাই শিশুকে শেখান—সব আবদার পূরণ হয় না, সব চাওয়া পূরণ না হলেও ভালো থাকা যায়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন