নির্যাতিতা গৃহবধূ জানান, মঙ্গলবার তিনি তার দুই সন্তান নিয়ে অন্যদিনের মতো নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। মধ্যরাতে তার ঘরের মাটিতে সিঁধ কেটে প্রতিবেশী মো. কামাল মাঝি ও তার এক সহযোগী ঘরে মধ্যে ঢোকে। এরপর তাকে মারধরের পর জোরপূর্বক অত্যাচার করে (ধর্ষণ) করে ভিডিও ধারণ করে। এসময় শিশু ছেলে ও তার গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।
এমনকি বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় অভিযুক্ত কামাল। স্বামী জেলার বাইরে থাকায় সকালে ওই গৃহবধূর তার বাবার বাড়ি লোজনকে বিষয়টি জানালে তারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভোলা সদর মডেল থানায় ও পরে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষা শেষে বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার পরিবার।
আরও পড়ুন: দুই বছরের ছেলের গলায় ছুরি ধরে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে ভুক্তভোগী ওই নারীকে দেখতে এসে এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার চেয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হারুন চৌকিদার।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে আশঙ্কা মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তায়েবুর রজমান। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহদৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে ধর্ষণের ঘটনা ষড়যন্ত্র দাবি করেছেন করেছেন অভিযুক্তের বাবা তোফাজ্জল হোসেন। তিনি জানান, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধ আছে। তার ছেলে বিদেশ যাওযার প্রস্তুতি নিচ্ছে এসময় মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
অভিযুক্ত কামাল দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি বিবাহিত।