তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ভালো নির্বাচন আয়োজনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
শনিবার (২৮ জুন) খুলনা জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। সবাই চায় দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত হোক। আমরা মনে করি, সেটি সম্ভব।”
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের কাঠামো সংস্কারে ইতোমধ্যে একটি রিফর্ম কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন তাদের সুপারিশমালা ও প্রস্তাবনা দিয়েছে, যার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট সংস্কার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন: হাসিনার পালানোর ব্রেকিং নিউজ দিয়ে পুরস্কার পেলেন শফিকুল আলম
মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত লক্ষ্যেই এগোচ্ছি। একটি ফ্রি, ফেয়ার ও ইনক্লুসিভ নির্বাচন আয়োজন আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি। আমরা চাই জনগণের রায়ের ভিত্তিতে বিজয়ীরা ক্ষমতায় আসুক, যাতে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্ভব হয়। নির্বাচন যেন উৎসবের মতো হয়—সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
খুলনা অঞ্চলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে, যার প্রভাব খুলনার ওপরও পড়েছে। বিশেষ করে পাট খাতের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আগের সরকারকে অনেক মিল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন খুলনা তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
মতবিনিময় কালে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন। খুলনার বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা মতবিনিময়ে অংশ গ্রহণ করেন।