মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের মাল্টিপারপাস হল রুমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ ইন দ্য সেক্রেটারিয়েট: আ ফিউচার ফর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ফ্রি এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন।
তিনি জানান, এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুতির সময় দেয়া হবে এবং অধীনস্থদের প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে নির্দেশনা দেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। একে মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের এগোতে হবে। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে হবে। শুধু নিজের স্বার্থেই নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা যেন তাদের জন্য একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পৃথিবী রেখে যেতে পারি।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিক না থাকায় জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে: ড. ইউনূস
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সচিবালয়কে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি জানান, সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণে পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্রুত একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. জাকি উজ জামান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম। এছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব মন্ত্রিপরিষদ সচিবের হাতে ১৭টি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রীর একটি সচিত্র তালিকা তুলে দেন এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব অন্যান্য সচিবদের হাতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্যসামগ্রী তুলে দেন।
প্রসঙ্গত, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার এরইমধ্যে ১৭ ধরনের সামগ্রীকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের তৈজসপত্র, চকলেটের মোড়ক, প্লাস্টিকের দাওয়াত কার্ড ও ব্যানার, স্টাইরোফোমের খাবার ধারক, পাতলা প্লাস্টিক মোড়কযুক্ত পণ্য, প্লাস্টিক বোতল ও ক্যাপসহ নানা সামগ্রী।