সরেজমিনে উপজেলা পৌর শহরের শিকদারপাড়া এলাকা ঘুরে জানা যায়, সমাজসেবা অফিসের সাবেক কর্মচারী আনোয়ারাকে দালাল হিসেবে নিয়োগ করেছেন সমাজসেবা কর্মকতা মনসুর আহমেদ। তার মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আবেদনকৃত ব্যক্তিদের থেকে ঘুষ লেনদেন বন্দোবস্ত করে থাকেন। যারা ২ হাজার করে টাকা দিয়েছেন কেবল তারাই বয়স্কসহ অন্যান্য ভাতার কার্ড পেয়েছেন।
এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভাতা প্রত্যাশীরা। কার্ড না পাওয়া ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ২ বছর আগে আনোয়ারা তাদের কাছ থেকে ছবি, এনআইডি কার্ডের কপি সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ২ হাজার টাকা করে নেন তবুও তাদের কার্ড হয়নি। এদিকে ৬৮ বছর বয়সী মুক্তার আলী খানের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিয়েছে। তবে আরও টাকা দাবি করছেন টাকা না দিলে পিন নম্বর না দেয়ায় টাকা তুলতে পারছেন না অসহায় বৃদ্ধ। শতশত মানুষ টাকা ফেরত চেয়ে তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
আরও পড়ুন: সিভিল সার্জন অফিসে নিয়োগে ঘুষ চাওয়ায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা
মতিউর রহমান, আছিয়া বেগম, সাহেরা বেগম ও মুক্তার আলী খান জানান, প্রায় ২ বছর আগে আনোয়ারা তাদের থেকে ছবি, এনআইডি কার্ডের ছবি সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ২ হাজার টাকা করে নিলেও তাদের কার্ড হয়নি।
ভুক্তভোগী ৬৮ বছর বয়সী মুক্তার আলী খান বলেন, ‘আমার কাছে টাকা চেয়েছিল, দেইনি। তাই আমার কার্ড করে দেয়নি আনোয়ারা ও বাবুল।’
বৃদ্ধা মতিউর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন অসুস্থ আছি। সমাজসেবা কর্মকতা মনসুর আহমেদ তার নিয়োগ করা দালাল আনোয়ারা আমার ২ হাজার টাকা নিয়েছে। আমার বয়স্ক ভাতার কার্ডটি হলেও ভাতার টাকা দিতে গড়িমসি করে তারা। আরও টাকা না দিলে নগদ একাউন্টের পিন কোড দেবে না বলে জানায়।’
আরও পড়ুন: ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল, চবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার বরখাস্ত
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি আনোয়ারা। তবে অভিযোগ স্বীকার করে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ বলেন, টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তবে সবার অভিযোগ সঠিক না বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল রনি বলেন, ‘একটি ভিডিও পেয়েছি। তাছাড়া অর্থ লেনদেনের বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>