শুক্রবার (৬ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে সারজিস লেখেন, জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ এবং মার্চের মধ্যে দৃশ্যমান বিচার ও প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কারগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচনে কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে এক যুগের অবৈধ নির্বাচন ও জুলাই অভ্যুত্থানের পর ২০২৬ সালে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার, কালোটাকার ছড়াছড়ি, কিংবা পেশিশক্তির প্রদর্শন মুখ্য হয়ে ওঠার বিন্দুমাত্র সুযোগ দেয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কুয়াশা কেটে গেছে: চরমোনাই পীর
বড়-ছোট সব রাজনৈতিক দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং বিচার বিভাগ যে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার মতো দক্ষ ও যোগ্য, দৃশ্যমান কাজের মাধ্যমে সেই আস্থা অর্জন করতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ক্ষমতার দ্বারা প্রভাবিত না হয় সেদিকে সুস্পষ্ট অবস্থান থাকতে হবে। বড়-ছোট সব রাজনৈতিক দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত পূরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যে কোনো দিন জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
]]>