মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা শহরের অপরাজয় ৭১ চত্বরে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা নাকি তাড়াহুড়ো করছেন। এদের ইতিহাস বাংলাদেশের মানুষ জানেন। তাদের কার্যক্রম আমাদের সবার কাছে পরিষ্কার। শেখ হাসিনা কিন্তু বুঝতে পারেননি ৩ ঘণ্টা আগেও খাবার পাক করে খেয়ে যেতে পারবেন না, তাকে হেলিকপ্টারে পলাতে হবে। এটা তিনি বোঝেননি; কিন্তু বাস্তবে পালাতে হয়েছে।’
বিভিন্ন কায়দায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ধ্বংসের পায়তারা চলছে জানিয়ে রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলেছি, সেই সুরে আপনারা কেন কথা বলছেন। বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড চলবে না: রেজাউল করিম
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘হাজার হাজার মায়ের কোল খালি হয়েছে যারা করেছেন; তাদের বিচারের ব্যাপারে কোনো শব্দ আমরা শুনছি না। সংস্কারের ব্যাপারে কোনো শব্দ আমরা শুনছি না। কিন্তু আমরা বারবার শুনছি নির্বাচনের কথা। ক্ষমতায় যাওয়ার পরে কী করবেন জাতি জেনে গেছে। এখন আপনারা কি করছেন, তা দিনের মতো পরিষ্কার হয়েছে।’
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেন, ‘জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যারা ডিসেম্বরে এবং দু’এক মাস ব্যবধান নিয়ে বারবার কথা বলছেন, আমরা যখন জিজ্ঞেস করবো, আপনারা কি চান না ,সংস্কার, গুম, খুনি, টাকা পাচারকারী এদের দৃশ্যমান বিচারক হোক। তারা বলবেন, চাই। তবে সেটা করবেন কারা? যারা সরকারে রয়েছেন তারা?’
তিনি আরও বলেন,‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কাজ করতে না দেয়া এটা কিন্তু আমরা ভালো নজরে দেখছি না। আমরা বলব আপনারা আবার চিন্তা করেন। সরকারকে সুন্দরভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেন।’
আরও পড়ুন: এত সমর্থন নিয়ে কেউ ক্ষমতায় যায়নি তবুও আপনারা ব্যর্থ: চরমোনাই পীর
রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা বিএনপি দেখেছি আওয়ামী লীগ দেখেছি জাতীয় পার্টি দেখেছি। নতুনভাবে এরা আমাদের দেশ সুন্দর পরিচালনার মাধ্যমে কি মধু দেবে এটা আমাদের জানা আছে। তার কারণ পরিবর্তন করতে হবে। তাই সবাইকে তিনি আহ্বান জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা মার্কার ছায়াতলে আসার।’
জনসভায় সংগঠনটির ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ হাফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন: কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী মুহম্মাদ আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দোলনে সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহাবুবুর রহমান নাহিয়ান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক আন্দোলনের তথ্য প্রযুক্তি ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ আনিছুর রহমান প্রমুখ।