রোববার (৯ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে এনসিপি সমর্থিত ন্যাশনাল ল'ইয়ার্স অ্যালায়েন্স (এনএলএ) আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, সরকার তাদের ম্যান্ডেট ও দায়িত্ব ভুলে এখন শুধুমাত্র নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যদি সংস্কারের জায়গায় কোনো বাধা তৈরি হয়, তাহলে সংস্কার না হওয়ার কারণে এই সরকারের এক্সিট পয়েন্ট কী হবে, আর সামনের নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে, আওয়ামী লীগের মতোই পরিণতি হবে: পাটওয়ারী
আখতার বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার করার জন্য এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছিল। সে সময় শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু আমরা দেখেছি, সরকার নিজেদের যে কর্তব্য যে, তারা সংস্কার বাস্তবায়ন করবে, সেই দায়িত্বের জায়গাটা হয়তো সরকার এখন ভুলে বসছে। কেননা, তারা এখন শুধুমাত্র নির্বাচন কীভাবে আয়োজন করা যেতে পারে এবং একটা নির্বাচন দিয়ে নিজেরা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন সেই ধরনের একটা পথ খোঁজার চেষ্টা করছে।’
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা।
তিনি বলেন, ‘গণভোট করেন, পিআর পদ্ধতি করেন আর অন্য যা কিছুই করেন না কেন― সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো এখতিয়ার নাই। সংবিধানে গণভোটের কোনো বিধান নাই। একমাত্র যদি জনগণের নির্বাচিত সরকার সংবিধান সংশোধন করে তাহলে গণভোট, পিআরসহ আপনাদের যেসব দাবি আছে সেগুলো হতে পারে।’
যদি সংসদই না হয়, দেশে যদি নির্বাচনই না হয় তাহলে কে এই সংবিধান সংশোধন করবে? এই ক্ষমতা তো জনগণ কাউকে দেয়নি।

২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·