শনিবার (৩০ আগস্ট) এয়ার মার্শাল তিওয়ারি অপারেশন সিন্দুরকে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করেন।
বলেন, ‘ভারতীয় বিমান বাহিনী ভারতের তরবারি চালানো বাহু। অপারেশন সিন্দুরে আমরা যা করেছি তা আমাদের সক্ষমতার একটি ছোট চিত্র মাত্র।’
আরও পড়ুন:ট্রাম্পের শুল্ক উত্তেজনার মধ্যে প্রতিরক্ষা নিয়ে যা জানালেন রাজনাথ সিং
তিনি এনডিটিভি প্রতিরক্ষা শীর্ষ সম্মেলনে বলেন অপারেশনের পর এই প্রথম আমরা একটি উন্মুক্ত মঞ্চে কথা বলছি। এ সময় হামলার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এই কর্মকর্তা।
জানান, পাকিস্তানের ভেতরে দুটি উচ্চমূল্যের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল ভারতের বিমান বাহিনীকে। (আইএএফ) - আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মুরিদকে (লস্কর-ই-তৈয়বার সদর দপ্তর) এবং পাকিস্তানের ভেতরে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে বাহাওয়ালপুর (জৈশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তরে)।
এছাড়া নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি আরও সাতটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
মুরিদকেতে প্রশাসনিক ভবন এবং দুটি নেতৃত্বের বাসভবনে বোমা হামলা চালানো হয়। ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে যে প্রাথমিক হামলার ফলে ছাদে কেবল ছোট ছোট গর্ত দেখা যাচ্ছে। তবে, স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত অভ্যন্তরীণ ভিডিওগুলোতে পরে ভবনের ভেতরে ব্যাপক কাঠামোগত ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বাহাওয়ালপুরে, পাঁচটি লক্ষ্যস্থল চিহ্নিত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল প্রশাসনিক ব্লক, ক্যাডার হাউজিং এবং নেতৃত্বের কোয়ার্টার। দুটি নির্ভুল অস্ত্র একাধিক তলা ভেদ করে কমান্ড সুবিধা ধ্বংস করে দেখানো হয়েছিল।
এদিকে, এনডিটিভি ডিফেন্স সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এয়ার মার্শাল নর্মদেশ্বর তিওয়ারি বলেন, পাকিস্তানের সাথে সামরিক সংঘাত বন্ধ করতে ভারতীয় বিমানবাহিনী ৫০টিরও কম অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ৫০টিরও কম অস্ত্রের মাধ্যমে আমরা সংঘাত বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি।’
গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাম হামলার পর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানে অপারেশন সিন্দুর চালায় ভারত। পহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। এই হামলার সাথে পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে হামলা চালায় নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন:সম্পর্ক পুনঃস্থাপন: নতুন হাইকমিশনারের নাম ঘোষণা করল ভারত-কানাডা
কয়েকদিনের সংঘাত চলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান।
]]>