একইসঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে চালনা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোজাফফর হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। যুগ্ম আহ্বায়ক আইয়ুব আলী কাজীকেও সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টায় নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে খুলনা জেলা বিএনপি’র জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু। বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য আশরাফুল ইসলাম নূর।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ যশোরের এনামের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত কুমার সাহাকে রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়ার পাশাপাশি দাকোপ-বটিয়াঘাটার সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দাকোপে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জরুরি সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিথ ছিলেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, মো. তৈয়্যেবুর রহমান, গাজী তফছির আহম্মেদ, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, বাবু অসিত কুমার সাহা, এসএম শামীম কবীর ও অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল।
অন্যদিকে, স্বেচ্ছাসেবক দলের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায়ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চালনা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইফতেখারুল কবির বাপ্পি এবং দাকোপ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশের ওপর হামলা মামলায় আসামি ৮২
এর আগে সোমবার (১২ মে) দাকোপে একটি খালের ইজারা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দাকোপ থানার এএসআই আজাহার উদ্দিনসহ অন্তত ৯ জন আহত হন। গুরুতর আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উভয় পক্ষের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন চালনা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোজাফফর হোসেন। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।