সংকটে ইরানের ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ আরও শক্তিশালী হবে, দাবি খামেনির

২ সপ্তাহ আগে
সিরিয়ায় স্বৈরাচার আসাদ সরকারের পতনের পর ইরানের ‘প্রতিরোধের অক্ষ ভেঙে পড়েছে’- এমন দাবি মানতে নারাজ দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, প্রতিরোধের অক্ষ এমন হার্ডওয়্যার নয় যা ধ্বংস করা যায়। বরং এটি একটি বিশ্বাস যা সংকটের মধ্যে শক্তিশালী হয়। এই বিশ্বাস একসময় এই অঞ্চল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও বিতাড়িত করতে সক্ষম হবে। খবর আল জাজিরার।

কয়েক দশক ধরে ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করার জন্য সমমনা দলগুলোকে নিয়ে ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ তৈরি করছে ইরান। কিন্তু বাশার আল-আসাদের পতনের সঙ্গে তেহরান শুধু দামেস্কের শাসক পরিবারের সাথে চার দশকের জোটই নয়, প্রধান অক্ষের লাইফলাইনও হারিয়েছে--এমন দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এই দাবি অস্বীকার করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, এই ধরনের কথা ‘অজ্ঞতার শামিল এবং বড় ভুল।’  খামেনি গত সপ্তাহে এক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

 

আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠক / গণতন্ত্র না কঠোর ইসলামী শাসন, কোন পথে সিরিয়া?
 

প্রতিবেশী ইরাক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে দেয়া ইরানের একটি প্রধান লক্ষ্য। কারণ এর মধ্যদিয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরানের শীর্ষ জেনারেল এবং অক্ষের প্রধান স্থপতি কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নেয়া সম্ভব হবে তেহরানের।

 

১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ইরানের সহায়তায় হিজবুল্লাহ লেবাননে একটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছিল এবং দেশটির ঐতিহ্যবাহী সেনাবাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গড়ে তুলেছিল। গোষ্ঠীটির ওপর গত বছর থেকে যথেষ্ট হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। যার মধ্যে রয়েছে এর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা।


এ বিষয়ে তেহরান থেকে আসা বার্তায় জোর দেয়া হয়েছে যে, ইসরাইলি আক্রমণ সত্ত্বেও ‘হিজবুল্লাহ জীবন্ত আছে।’ খামেনি বলেন, লেবানিজ এবং ফিলিস্তিনি বাহিনীর প্রতিরোধ মানে ইসরাইলের জন্য ‘পরাজয়’।


তবে তেহরান-ভিত্তিক গবেষক এবং লেখক আলী আকবর দারেনির মতে, আপাতত এটি অনস্বীকার্য যে, তেহরান সিরিয়ায় একটি কৌশলগত মিত্র হারিয়েছে এবং স্বল্পমেয়াদে এর আঞ্চলিক প্রভাবের প্রতিফলন ঘটবে।

 

মঙ্গলবার দেয়া বক্তৃতায় খামেনি জোর দিয়েছিলেন যে, ‘জায়নবাদী সরকার বিশ্বাস করে যে তারা হিজবুল্লাহকে উপড়ে ফেলার জন্য সিরিয়ায় দুর্বল করার মধ্যদিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করছে। কিন্তু যদি কাউকে উপড়ে ফেলা হয় সে হবে ইসরাইল।’

 

আরও পড়ুন:গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় একই পরিবারের ৭ শিশু নিহত

 

যদিও ইরান বলেছে যে, তারা সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং ইসরাইল থেকে সিরিয়ার নতুন শাসক গোষ্ঠীর দূরত্ব তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। নতুন প্রশাসনের কমান্ডার-ইন-চিফ আহমেদ আল-শারা বলেছেন, ‘সিরিয়া যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এবং তারা ইসরাইলের শত্রু হতে চায় না।’ 

 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন