৩ সপ্তাহ আগে
৫
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়।
নিহত রমেন কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্যার ছেলে। তিনি পেশায় টিউবওয়েল মিস্ত্রি ছিলেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে চাঁদাবাজির দায়ে বিএনপি নেতা ইউসুফকে বহিষ্কার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। আর এই ষাঁড়ের লড়াইকে কেন্দ্র করে আশাপাশের দোকানীদের উপস্থিতিতে গ্রামীণ মেলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ষাঁড়ের লড়াই দেখতে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় করেন। লড়াই শুরু হলে দুইটি ষাঁড় মাঠ থেকে বেরিয়ে দৌড়ে যায়। এ সময় দর্শক আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি শুরু করেন। দর্শকের সারিতে থাকা রমেন দৌড় দিলেও ষাঁড়ের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে আবারও পদদলিত হন। এতে গুরুতর আহত হন রমেন। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে পরের দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ষাঁড়ের লড়াই একটি অমানবিক বিনোদন। এতে পশুর পাশাপাশি মানুষের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে। পাশাপাশি এমন আয়োজনে আশপাশের রাস্তায় যানজট ও জনদুর্ভোগ দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলের আলোচিত সেই কৃষি কর্মকর্তাকে ডিমোশন দিয়ে বদলি
এদিকে, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট খেলার নামে ষাঁড়, মোরগ, ছাগল লড়াই ও কুকুর নিধন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে নড়াইলসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনো নিয়মিত ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব আয়োজনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা অতিথি হয়ে উপস্থিত থাকেন এবং পৃষ্ঠপোষকতা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·