শ্রমিক সংকটে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না পিরোজপুরের কৃষকরা

৩ সপ্তাহ আগে
শ্রমিক সংকটে পাকা ধান ঘরে তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন পিরোজপুরের কৃষকরা। মাঠের পর মাঠ ধান পেকে গেলেও শ্রমিক সংকটে তা কাটতে পারছেন না তারা। জেলায় ৬৯টি হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হলেও কৃষকরা তেমন সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমানে জেলার প্রতিটি ধানক্ষেত মুখরিত হয়ে উঠেছে বোরো ধান কাটার উৎসবে। ফলন ভালো হলেও শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তার ওপর বৃষ্টির আশঙ্কা আর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।

 

চলতি মৌসুমে সার, বীজ, সেচ ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিশেষ করে সেচ নির্ভর বোরো আবাদে ডিজেল ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি কৃষকদের জন্য বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শ্রমিকের উচ্চ মজুরি। বর্তমানে ৮০০ টাকা মজুরি দিয়েও শ্রমিক মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা।

 

পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চাষি ফজলুল শেখ বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। ধান পেকে গেছে কিন্তু শ্রমিক পাচ্ছি না। ৮০০ টাকায়ও শ্রমিক মেলে না। কৃষি বিভাগ থেকে যে হারভেস্টার মেশিনের কথা বলা হচ্ছে, আমাদের এলাকায় তা কখনো দেখিনি।’

 

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘সমলয় কৃষকদের’ ধান কাটা শুরু

 

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া ও শ্রমিক সংকটে ধান কাটায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সমাধানে জেলায় ৬৯টি হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে, যা শ্রমিক সংকট দূর করতে সহায়ক হবে। হারভেস্টার মেশিন ব্যবহারে কোনো অনিয়ম হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

এ বছর পিরোজপুর জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৩৪ হাজার হেক্টরে। এখন পর্যন্ত ৭ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন