ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদ অভিযোগ করে জানান, কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়নের আনইলবুনিয়া গ্রামের বটতলা এলাকায় তিনি শ্বশুরের কাছ থেকে ২০০৭ সালে ৬ শতাংশ জমি কিনে ২২ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। আর পেছনে মুদি-মনোহরী, কসমেটিক্স, পোল্ট্রির দোকান, চা-দোকান, কনফেকশনারী দোকান চালান ছেলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার ভোরে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা রামদা ও দেশিয় অস্ত্রের মুখে হারুনসহ তার পরিবারের ৭ নারী-পুরুষকে বেঁধে ফেলে। পরে ঘর ও দোকানে লুটপাট চালায় এবং ভাঙচুর করে।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শ্যালক ফয়সাল ও একই গ্রামের ব্যবসায়ী নাসির খান সরোয়ারের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এই লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ হারুনের।
এদিকে হামলা ও লুটপাটের খবর পেয়ে স্বজনরা জাতীয় পরিসেবার সাহায্যের জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ঘটনার আড়াই ঘণ্টার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে সবাইকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: দুই যুগেও আলোর মুখ দেখেনি ঝালকাঠির ন্যাশনাল ইকোপার্ক প্রকল্প
অভিযুক্ত নাসির খান সরোয়ার ঢাকায় ব্যবসা করেন। তকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে হারুন অর রশিদের শ্যালক ফয়সাল হোসেন বলেন, আমার পিতা আব্দুল গনি হাওলাদার আমাকে ৬ শতাংশ জমি লিখে দেন। আমি সবার ছোট হওয়ায় আমাকে লালন পালন করার জন্য আমার বোন রোজিনা বেগম ও তার স্বামী হারুন অর রশীদকেও ৬ শতাংশ জমি লিখে দেন। তিনি আমাকে লালন পালন তো করেননি বরং আমার ৬ শতাংশ জমি জোর পূর্বক দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করছেন। আমি বোন ভগ্নিপতির কাছে হাজার বার ধর্না দিয়েও জমি বুঝে পাইনি। বাধ্য হয়ে সম্প্রতি এ জমি স্থানীয় নাসির উদ্দিনের নিকট বিক্রি করেছি।
বটতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জানান, বাজারের ব্যবসায়ী হারুন ও তার শ্যালকের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কে বা কারা ভাঙচুর করছে তা দেখেনি।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে একই রশিতে ঝুলছিল মা-ছেলের মরদেহ
এ ব্যাপারে কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মংচেনলা মুঠোফোনে বলেন, মোবাইলে অতবেশি বলা যাবে না। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।