শোষণ ও জোরপূর্বক শ্রম রোধে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ সরকারের

১ সপ্তাহে আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মক্ষেত্রে শোষণ ও জোরপূর্বক শ্রম রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। সেই সঙ্গে কোম্পানি, শিল্প প্রতিষ্ঠান, কর্মীদের পাশাপাশি সকল নিয়োগকর্তাকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যে ‘প্রিভেনশন অব লেবার এক্সপ্লয়টেশন: টুওয়ার্ডস জিরো ফোর্সড লেবার ২০৩০’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাসচিব (অপারেশনস) সুতেকনো আহমেদ বেলন।

 

এ সময় তিনি বলেন, শোষণ ও জোরপূর্বক শ্রম শুধুমাত্র আইনি বিষয় নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক মানবিক সমস্যা যা প্রতিটি নিয়োগকর্তাকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। এই সমস্যা দেশের সুনাম ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ককে সরাসরি প্রভাবিত করে।

 

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে সরকার ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান অন ফোর্সড লেবার ২০২১-২০২৫ গ্রহণ করেছে যা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো যৌথভাবে পরিচালনা করছে। 

 

আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি যুবক গ্রেফতার

 

এদিন সেমিনারে বিভিন্ন খাতের ৩০০ জনেরও বেশি নিয়োগকর্তা অংশ নেন। এর লক্ষ্য ছিল শ্রম শোষণ এবং জোরপূর্বক শ্রম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সরকার, শিল্প ও সুশীল সমাজের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করে শোষণমুক্ত কর্মক্ষেত্র তৈরি করা।

 

সুতেকনো আহমেদ বলেন, জোরপূর্বক শ্রমের ১১টি সূচক রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শ্রমিকদের আটক বা সীমাবদ্ধ করা, মজুরি আটকে রাখা বা অবৈধভাবে কর্তন করা, শ্রমিকদের হুমকি দেয়া, বেতন ছাড়াই ওভারটাইম কাজ করতে বাধ্য করা এবং শ্রমিকদের নিজস্ব নথিপত্র তথা ভিসা-পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন