শোভাযাত্রার উচ্ছ্বাসে ‘খুলনা দিবস’, ওঠে এলো ঐহিত্য-সংস্কৃতি

৩ সপ্তাহ আগে
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ও উচ্ছ্বাসে খুলনায় পালিত হয়েছে ‘খুলনা দিবস’। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর অধিকার আদায়ের বার্তা নিয়ে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় দিনটি।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শিববাড়ী মোড়ে আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ খান। তিনি বেলুন উড়িয়ে দিবসের সূচনা করেন।

 

দিবসের মূল কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে নগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শিববাড়ী মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে অংশ নেন খুলনার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ হাজারো সাধারণ মানুষ।

খুলনার ১৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এভাবেই উদযাপন হয় এবার। ছবি: সময় সংবাদ 

 

শোভাযাত্রার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয় খুলনার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জনমানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। ঐতিহ্যবাহী ঢাক-ঢোল, নানা রঙের পোশাকে সজ্জিত অংশগ্রহণকারীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে শহরের রাজপথ। র‍্যালিতে সুন্দরবনের প্রতিকৃতি, নদী-খাল-জলাশয়ের চিত্র এবং খুলনার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয় সৃজনশীল উপস্থাপনায়।

 

আরও পড়ুন: খুলনায় ক্রিকেট লিগের দাবিতে মানববন্ধন

 

শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই খুলনার উন্নয়ন-বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। শহরের নাগরিকরা অবকাঠামো উন্নয়ন, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর নির্মাণ এবং মোংলা বন্দরের আধুনিকায়নসহ দীর্ঘদিনের দাবিগুলো আবারও জোরালোভাবে উত্থাপন করেন।

 

মাকছুদা আক্তার বলেন, ‘খুলনা আমাদের প্রাণের শহর। এ শহরের জন্মদিনটি আমরা বিশেষভাবে উদযাপন করছি। আমরা চাই, একটি আধুনিক, সব সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ খুলনা গড়ে উঠুক।’

 

আয়োজক সংগঠন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ উজ জামান বলেন, ‘এই র‍্যালির মূল উদ্দেশ্য শুধু উদযাপন নয়, বরং নতুন প্রজন্মের কাছে খুলনার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরা। সেই সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চনার বিষয়টি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন করে পৌঁছে দেয়া।’

 

আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াতে খাবি খাচ্ছে খুলনা অঞ্চলের পাটকলগুলো

 

তিনি আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ খুলনা নানা দিক থেকে অবহেলিত থেকেছে। আমরা চাই, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে খুলনার মানুষের ন্যায্য দাবি বিশেষ করে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ, বিমানবন্দর নির্মাণ, মোংলা বন্দরের আধুনিকায়ন সরকার গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করুক।’

 

ইতিহাস বলছে, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা গঠিত হয়। সেই হিসেবে খুলনার ১৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হলো এবার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন