শেষ সেশনের ব্যাটিং ধসে লিড নিয়েও অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

২ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১১৮ রান যোগ করেন এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। এনামুল আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি করেন সাদমান। এরপর মুমিনুল হক, শান্ত, মুশফিকুর রহিমরা ভালোই ব্যাট করছিলেন। তাদের ব্যাটে লিডও পেয়ে যায় টাইগাররা। তবে শেষ সেশনে যেন চেনা রূপে ফিরে যায় স্বাগতিকরা। শেষ ৩২ রান তুলতেই ৪ ব্যাটারকে হারায় তারা। ৬৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে টাইগাররা।

৩ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তখনও বড় লিডের স্বপ্ন ছিল স্বাগতিকদের। তবে শেষ সেশনে এসে যেন চিরচেনা সেই বাংলাদেশ। শেষ ৩২ তুলতেই সাজঘরে ফেরন ৪ ব্যাটার। দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১। উইকেটে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১৬) ও তাইজুল ইসলাম (৫)।

 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। তবে শেষ উইকেটে কোনো রান যোগ করতে পারেনি তারা। শেষ উইকেটটাও গেছে তাইজুলের ঝুলিতে। প্রথম ইনিংসে ৬০ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

 

এরপর ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় খেলতে থাকেন দেখেশুনে। তাদের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১১৮ রান। বিজয় আউট হলে ভাঙে এ জুটি। ফেরার আগে বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ৮০ বলে ৩৯ রান।

 

আরও পড়ুন: মুশফিক-শান্তর জুটিতে লিড পেল বাংলাদেশ

 

টেস্টে এই ৩৯ রানের ইনিংসটিই বিজয়ের ক্যারিয়ারসেরা। এর আগে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ২৩ রানের। গ্রস আইল্যান্ডে ২০২২ সালের জুনে এই ২৩ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন বিজয়। এরপর লাল বলের ক্রিকেটে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।

 

দ্বিতীয় উককেট জুটিতে সাদমান ইসলামের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে বেন কারানের হাতে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৪ বলে ৩৩ রান।

 

এর পরপরই ফিরে যান সাদমান ইসলাম। ব্রায়ান বেনেটের বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৮১ বলে ১২০ রান।

 

আরও পড়ুন: ২০২২ এর পর ওপেনিংয়ে প্রথম শতরান, চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি

 

চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে এগোতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে মিলে ছোট একটি জুটিও গড়েন। তাদের জুটি থেকে আসে ৬৫ রান। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরে গেলে ভাঙে তাদের এই জুটি। ভিনসেন্ট মাসেকেসার বলে নিক ওয়েলচের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক। ৫৪ বলে ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

 

এরপরই ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং শিবিরে। শেষ ৩২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। জাকের আলী আউট হন ৫ রান করে। মাসেকেসার বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মুশফিকুর রহিম কাটা পড়েন রানআউটে। ৫৯ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

 

নাঈম হাসানও পারেননি নিজের ইনিংস বড় করতে। ২৩ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেই তিনি ফিরে যান সাজঘরে। তার উইকেটও নেন মাসেকেসা। সেন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই ব্যাটার।


এরপর তাইজুলকে নিয়ে দিন পার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৭ বলে ১৬ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মিরাজ। আরেক প্রান্তে ১১ বলে ৫ রান নিয়ে উইকেটে আছেন তাইজুল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন