শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ৩৫০

২ সপ্তাহ আগে
হেডিংলি টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার আরও ৩৫০ রান। চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ৩৬৪ রানে ভারত অলআউট হলে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭১। শেষ বেলায় ৬ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। কোনো উইকেট না হারিয়ে ২১ রানে চতুর্থ দিন শেষ করে ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট শুরু করবেন পঞ্চম দিনের ব্যাটিং।

চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ইংল্যান্ডের কোনও উইকেট ফেলতে পারেনি ভারত। অর্থাৎ শেষ দিনে জিততে গেলে ১০টি উইকেটই তুলে নিতে হবে ভারতের বোলারদের। ঘটনাচক্রে, এই লিডসের মাঠে দু’বার চতুর্থ ইনিংসে ৩৫০-র বেশি রান তাড়া করে জয়ের নজির রয়েছে। 

 

বেশ কয়েকটি বল ধরে খেলেছিলেন প্রসিদ্ধ। হঠাৎই বশিরের বল তুলে মারার ইচ্ছা হলো তার। আর তাতেই বিপদ ডেকে আনলেন এই ব্যাটার। পিছন দিকে দৌড়ে ক্যাচ নিলেন জশ টং। ৩৬৪-তে শেষ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। 

 

৯৬ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের ব্যাটিং শুরু করে ভারত। তবে চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো হয়নি না সফরকারীদের। ব্রাইডন কার্সের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শুভমান। ৮ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় ভারতীয় অধিনায়ককে। 

 

প্রথম ইনিংসে ৮ রানের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি মিস হয়েছিলো কেএল রাহুলের। তবে আজ আর কোনো মিস হয়নি তার। হাফ-সেঞ্চুরির পর শতকের দেখাও পেয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ১৩৭ রান করে ব্রাইডন কার্সের বলে ফেরেন তিনি। 

 

আরও পড়ুন: হেডিংলি টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় পন্ত

 

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছেন রিশভ পন্ত। জোড়া সেঞ্চুরি করে অবশ্য রেকর্ডবুকে তুলেছেন নিজের নাম। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা অষ্টম ভারতীয় ব্যাটসম্যান তিনি, বিদেশের মাটিতে পঞ্চম। এক ম্যাচে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে সুনীল গাভাস্কারের (৩), দুবার আছে রাহুল দ্রাবিড়ের। একবার করে এমন কীর্তি আছে বিজয় হাজারে, আজিঙ্কা রাহানে, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার। 

 

পন্তের সৌজন্যে ইংল্যান্ডে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যান এই প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন। তবে একটা জায়গায় সব ভারতীয়ের চেয়ে আলাদা পন্ত। এমনকি পুরো ক্রিকেট ইতিহাসেই তার আগে এমন অর্জন ছিল আর একজনের। 

 

উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে এত দিন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ২০০১ সালে হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১৪২ ও অপরাজিত ১৯৯ রান করেছিলেন। এবার তার পাশে বসলেন পন্ত। 

 

করুন নায়ার, রবীন্দ্র জাদেজা দুজনেই আউট হয়েছেন যথাক্রমে ২০ ও ২৫ রান করে। ঠাকুর ফিরেছেন ৪ রান করে। এরপরের বাকি তিন ব্যাটার ফিরেছেন শূন্য রানে। আর তাতেই থামে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। 

 

আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে আসার পর ক্রিকেটারদের পাওনা অর্থ দেয়ার ঘোষণা ওমানের

 

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ভারতের তিনজন ব্যাটার- জয়সওয়াল, গিল ও পন্ত। তিন সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৪৭১ রানে থামে ভারতের প্রথম ইনিংস। এই তিনজন ছাড়া দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছিলেন মাত্র দুজন- রাহুল করেছিলেন ৪২ ও জাদেজা করেছিলেন ১১ রান। 

 

স্বাগতিক ইংল্যান্ডও ছাড় দেননি এতটুকুও। তাদের একজন ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। ওলি পোপ করেছিলেন ১০৬ রান। তাছাড়া হ্যারি ব্রুক আউট হয়েছেন নার্ভাস নাইন্টিনাইনে। ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ৪ রানে আউট হলেও আরেক ওপেনার ডাকেট খেলেছেন ৬২ রানের ইনিংস। 

 

প্রথম ইনিংসে জো রুট নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সেভাবে। ৫৮ বলে ২৮ রান করেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। অধিনায়ক বেন স্টোকস ফিরেছেন ২০ রান করে। 

 

জেমি স্মিথকে ফিরিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ৪০ রান। শেষদিকে ক্রিস ওকস খেলেন ৫৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। ব্রাইডন কার্স খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে। ২৩ বলে ২২ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান সিরাজ। টং ১৮ বলে ১১ ও বশির আউট হয়েছেন ৪ বলে ১ রান করে।

 


শেষ দিনে ইংল্যান্ডের জিততে হলে করতে হবে আরও ৩৫০ রান। আর অন্যদিকে ভারতকে জিততে স্বাগতিকদের ১০টি উইকেটই তুলে নিতে হবে।

 


 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন