বুলাওয়েতে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩২ রান করে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।
পাকিস্তানের দেয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৩ ওভার ১ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৪০ রান। জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের তখন ১০১ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯২ রান, হাতে ১০ উইকেট। এই অবস্থান থেকে এরপর শুরু হয় স্বাগতিকদের ব্যাটিং ধস।
আরও পড়ুন: শুক্রবার শুরু হচ্ছে দিবারাত্রির অ্যাডিলেড টেস্ট
দলীয় ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রান ধীরে এগোলেও ৩৩ রানের সেই জুটিতে খেলার নিয়ন্ত্রণ ছিল জিম্বাবুয়ের হাতেই। তবে দশম ওভারে সেট ব্যাটার ব্রায়ান বেনেটকে ফিরিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন সাফিয়ান মুকিম। ৩৫ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৪৩ রান করেছেন বেনেট।
বেনেটের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে আউট হন ডিয়ন মায়ার্স, ওয়েসলি মাধেভেরে এবং রায়ান বার্ল। আব্বাস আফ্রিদির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন মায়ার্স। মাধেভেরেকেও বোল্ড করেন আব্বাসই। আর রায়ান বার্ল ফেরেন রান আউট হয়ে।
শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য ৩৭ রান দরকার ছিল ২৭ রান। সিকান্দার রাজা ১৭তম ওভারে ১০ রান নিয়ে লড়াইয়ে চালকের আসনে ফেরান জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু পরের ওভারে তিনি ফিরলে আবারও চাপে পড়ে যায় রোডেশিয়ানরা।
আরও পড়ুন: ১৬ মাস পর ফিরে আইসিসির মাসসেরার মনোনয়নে সুপ্তা
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১২ রান দরকার ছিল জিম্বাবুয়ের। কঠিন এই লক্ষ্যতাড়ায় অসাধ্য সাধন করেছেন মাপোসা। আগের ওভারে ব্যাটিংয়ে নামা এই অলরাউন্ডার শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা এবং চার মেরে ১০ রান নিয়ে নেন। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচের হার এড়ানোও নিশ্চিত করেন তিনি। ৩ বলে যখন ১ রান দরকার, তখন ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তাসিঙ্গা মুসেকিউয়া। তবে পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রিচার্ড এনগারাভা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৯ রানে প্রথম ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। চতুর্থ উইকেটে হাল ধরেন অধিনায়ক আগা সালমান এবং তায়েব তাহির। ৩৩ রানের এই জুটি ভাঙে মাপোসার বলে তায়েব কট বাহাইন্ড হয়ে ফিরলে। ১৪ বলে ২১ রান করেন তায়েব।
কাসিম আকরামও সালমানের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন। ২০ রান করে আউট হন কাসিম। দলীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে রান আউট হন সালমান। শেষদিকে রানের চাকা তেমন এগোয়নি। তাতে ১৩২ রানেই আটকে যায় পাকিস্তান।