রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এনসিএলে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে চট্টগ্রাম এবং বরিশাল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৮২ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হাতে রেখে শেষ বলে জয়ের বন্দরে পৌছায় বরিশাল।
বড় লক্ষ্যতাড়ায় শুরুটা ভালো হয় বরিশালের। দুই ওপেনার মিলে গড়েন ৭২ রানের জুটি। ফর্মে থাকা আব্দুল মজিদ তেমন ভালো করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৯ রান করে তিনি আউট হলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৩৯ বলে ৫৬ রান করে আরেক ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি আউট হন দলীয় ৭৯ রানে।
হাল ধরতে পারেননি ওয়ান ডাউনে নামা শামসুল ইসলাম অনিক এবং অধিনায়ক সোহাগ গাজীও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পাশাপাশি রান রেটের ওপরও কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছিল না বরিশাল। ফলে রান রেট উঠতে শুরু করে চূড়ায়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন সবচেয়ে লম্বা ক্রিকেটার
ছয়ে নামা মইন খান ব্যাট হাতে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন কিছুটা। কিন্তু ১৬ বলে ২৬ রান করে তিনি যখন বিদায় নেন, তখনও জয়ের জন্য ১১ বলে ৩৭ রান দরকার।
এরপরের গল্প পুরোটাই সালমানের। ১৯তম ওভারে যে চারটি বল খেললেন, তা থেকে নিলেন ৯ রান। শেষ ওভারে দরকার ২৫ রান। মোহাম্মদ ইরফানের করা প্রথম বলটা কিছুই করতে পারলেন না সালমান। তখনও আন্দাজই করা যাচ্ছিল না পরের কয়েকটি বলে কী হতে যাচ্ছে।
শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছয় হাঁকান সালমান। পরের বলে আবার ছয়। এবার মিড উইকেটের ওপর দিয়ে। ৩ ওভারে যখন ১৩ রান দরকার, তখন কাভার অঞ্চল দিয়ে চার মারেন সালমান। শেষ ২ বলে দরকার ৯ রান।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডে নিষিদ্ধ সাকিব অন্য দেশের লিগে বল করতে পারবেন?
ওভারের পঞ্চম বলটাও উড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করেন সালমান। এছাড়া এই বলটাও হয় নো বল। ফলে লক্ষ্যটা গিয়ে দাঁড়ায় ২ বলে ২ রানে। ফ্রি হিটের বাড়তি বলটায় অবশ্য কোনো রানই নিতে পারেননি সালমান। তবে শেষ বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবালের ৫৪ বলে ৯১ রানের ইনিংসে ১৮২ রান করে চট্টগ্রাম। ৭ চার ও ৬ ছক্কার দুর্দান্ত ইনিংসটি থামে ১৭তম ওভারে মেহেদী হাসানের বলে তিনি আউট হয়ে ফিরলে। চট্টগ্রামের হয়ে ওপেনিংয়ে ১৬ বলে ২২ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। এছাড়া ইয়াসির আলী রাব্বি ১২ এবং মুমিনুল করেন ১৩ রান।
]]>