শেষ ওভারে নাসুমের ছক্কায় ডিপিএলের ‘ফাইনালে’ মোহামেডান

২ সপ্তাহ আগে
কিছুক্ষণ আগেই লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতে আবাহনী লিমিটেড মঞ্চটা প্রস্তুত করে রেখেছিলো, মিরপুরে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মোহামেডান হারলেই তারা শিরোপার উদ্‌যাপন করতে পারতো। কিন্তু ২৩৭ রানের লক্ষ্য পাওয়া মোহামেডান ম্যাচটি জিতে নিলো ৪ উইকেটে।

মোহামেডান জেতায় ডিপিএলের সুপার লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আবাহনীর চেয়ে তারা এখন ২ পয়েন্টে পিছিয়ে, মঙ্গলবার আবাহনীর বিপক্ষে জিতলে তাদেরও আবাহনীর সমান ৮ পয়েন্ট হবে। মুখোমুখি দেখায় আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডান এগিয়ে থাকায় শিরোপা তাদের হাতেই উঠবে। মোহামেডান হারলে শিরোপা আবাহনীর, এমনকি পরিত্যক্ত হলেও। অর্থাৎ ডিপিএলের সুপার লিগের দুদলের শেষ ম্যাচটি হয়ে গেছে অঘোষিত ফাইনাল।


গাজী ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মোহামেডান ম্যাচটি জিতেছে নাটকীয়ভাবে। সাইফউদ্দিন ও নাসুম আহমেদকে ক্রিজে রেখে শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিলো ১২ রান, নাসুমের এক চারে প্রথম চার বলে তারা তুলতে পারে মাত্র ৬ রান, শেষ দুই বলে নেয় ৭। সাইফউদ্দিন ৩০ ও নাসুম ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন।


আরও পড়ুন: পিএসএল খেলতে দেশ ছাড়লেন নাহিদ


মোহামেডানের রান তাড়ার মঞ্চটা প্রস্তুত করে দিয়ে গিয়েছিলেন রনি তালুকদার। ওপেনিংয়ে নেমে ৫৫ রান করেন তিনি। যদিও তার আগেই আনিসুল ইসলাম ২ ও তাওফিক খান ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তাওহীদ ‍হৃদয়ের ব্যাট থেকে ৩৭ ও মাহমুউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে ৪৯ রান আসে।


এর আগে মুনিম শাহরিয়ারের ৮০, শেখ পারভেজ জীবনের ৩৩, গাজী তাহজিবুলের ৩২, সাদিকুর রহমানের ২৬ ও ওয়াসি সিদ্দিকীর ২২ রানে ভর করে ১০ উইকেটে ২৩৬ রান করে গাজী। মোহামেডানের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ও সাইফউদ্দিন ৩টি করে উইকেট নেন। নাবিল সাদ পান ২টি।


বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে মেহেদী মারুফের ৪৮, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪০, আকবর আলীর ৩৫ ও শরিফুল ইসলামের ৩৪ রানে আবাহনী পেয়েছিল ২২৬ রানের লক্ষ্য। জবাবে পারভেজ হোসেন ইমনের ৭৩, জিশান আলমের ৬৩, শাহরিয়ার কমলের ৩২, মোহাম্মদ মিঠুনের ২৯ ও এসএম মেহরবের ২৪ রানে ভর করে জয় পায় আবাহনী।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন