গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছিলো ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো। তবে সেখানে তাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিকে লড়তে হবে জার্মানির সবচেয়ে সফল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে।
অন্যদিকে, অকল্যান্ড সিটির বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শুরুটা দুর্দান্ত করলেও শেষ ম্যাচে হোঁচট খেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। বেনফিকার বিপক্ষে এক গোলের হারে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে বাভারিয়ানরা।
আরও পড়ুন: অশ্রুসিক্ত চোখে স্বদেশি ক্লাবে যোগ দিলেন পগবা
তবে সেসব পেছনে রেখে এই ম্যাচ নিয়েই পরিকল্পনা করছেন বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। কিন্তু মাঠে নামার আগে বড় দুশ্চিন্তা জামাল মুসিয়ালাকে ঘিরে। ইনজুরি থেকে ফিরলেও খুব একটা স্বস্তিতে নেই এই মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত ফিট না হলে এই ফুটবলারকে ছাড়াই মাঠে নামবে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী হলেও ফ্ল্যামিঙ্গোকে ছোটো করে দেখছেন না বাভারিয়ান কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি।
‘ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে যেমন ম্যাচ হয়, এই ম্যাচটাও তেমন হবে। ফ্ল্যামেঙ্গো দুর্দান্ত দল। তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই এখানে এসেছে। আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। জামাল মুসিয়ালা মাত্রই ইনিজুরি থেকে সেরে উঠেছে। তাকে আমরা সময় দিচ্ছি। তার পুরোপুরি ফিট হওয়া দরকার, তবে এই ম্যাচে তাকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যাচ শেষে ক্ষোভ ঝাড়লেন চেলসি কোচ
অন্যদিকে, গ্রুপ পর্বের পাওয়া আত্মবিশ্বাস বায়ার্নের বিপক্ষে কাজে লাগাতে চায় ফ্যামিঙ্গো। শক্তিমত্তায় প্রতিপক্ষ এগিয়ে থাকলেও তা নিয়ে চিন্তিত নন ক্লাবটির কোচ ফিলিপে লুইস। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির সামনে জয় ছাড়া কোনো উপায় নেই বলেও জানান তিনি।
‘দেখুন ইউরোপিয়ান কোনো টিম যদি এই শিরোপা জেতে তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তবে এই শিরোপা জয় আমাদের ক্লাবের সবার জীবন বদলে দেবে। আমাদের সমর্থন দিতে অনেক ফ্যান এসেছে। তাদের জন্য হলেও এই ম্যাচ জিততে চাই।’ বায়ার্ন মিউনিখের প্রেসিং ফুটবলের বিপরীতে নিজেদের খেলার ধরনের কোনো পরিবর্তন আনতে চায় না ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
]]>