সেই সঙ্গে ১২ টি ড্রেজার মেশিন, ৯ টি বালুর অবৈধ স্থাপনা, বালু উত্তোলন সরঞ্জামাদি এবং কয়েক হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পাড় ও ভূরুংগা এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিসুর রহমানের যৌথ নেতৃত্বে দিনব্যাপী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পাড় ও ভূরুংগা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, আটক ২
এসময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (সংশোধিত ২০২৩) অনুসারে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ৮ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ১২ টি ড্রেজার মেশিন অপসারণ ও ধ্বংস, ৯ টি বালু উত্তোলনের অবকাঠামো এবং কয়েক হাজার ফুট পাইপ বিনষ্ট করা হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর গ্রামের মৃত আ. রহিমের ছেলে মবিনুল আলম (৩৬), নন্নী গ্রামের মো. ইয়াজুল হকের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন (৪২), চাদগাঁওয়ের সুরুজ্জামানের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৮), নন্নীর আব্দুল মজিদের ছেলে হাসমত আলী (৪৫), রাজনগরের ইউসুফ আলীর ছেলে মো. শাজাহান (৩৫), আন্ধারুপাড়ার মৃত পনেলের ছেলে অনিল (৩২) এবং শেরপুর সদরের ময়না চন্দ্র দাসের ছেলে সুরেশ চন্দ্র দাস (৪০)।
অভিযানকালে পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার, বনবিভাগ, স্থানীয় ইউপি মেম্বার, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে তিনজনের সাজা
এবিষয়ে নালিতাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ও আশপাশের পরিবেশ হুমকিতে রয়েছে। তাই জনস্বার্থে এরকম অভিযান চলমান থাকবে।