বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে জেলা শহরের নির্ঝর কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মেসার্স মিন্টু সন্সের মালিক মোফাজ্জল হোসেন মিন্টু জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার কামাল ভেজিটেবল ওয়েল মিল থেকে তার নিজস্ব ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৪৯৫১) করে ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের ৭৫টি ড্রামে ভোজ্য তেল নিয়ে শেরপুরে উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রাকটি শেরপুর আসার পথে গভীর রাতে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর পৌঁছালে মালামালসহ ট্রাকটি ছিনতাই হয়।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হলে ট্রাকের চালক আব্দুস সামাদ ও হেলপার ইউনুস আলীকে গ্রেফতার পুলিশ। দুইদিন পর মানিকগঞ্জের আরিচা ফেরিঘাট এলাকা থেকে ৭৫ টি তেলের ড্রাম উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
আরও পড়ুন: জামালপুরে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালন
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার পর থেকেই শেরপুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট দোসর নেতা নাড়ু বাবু (৬০), হোসেন মিয়া (৫০), জামান মিয়াসহ (৫০) কয়েকজন আমাকে ওই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বলে। আমি মামলা প্রত্যাহার করতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় তারা এবং চাঁদা দাবি করার পাশাপাশি নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে শেরপুর সদর থানায় সাধারণ ডাইরি করি। এখন আমি আমার এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।’
ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন মিন্টু বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে মালিকানাধীন একটি ট্রাক (রেজি. নং ঢাকা মেট্রো ট-২০-৫০১২) শেরপুর শহরের গৌরীপুর নতুন বাস টার্মিনালে মেরামত কাজে নিয়ে গেলে ওই শ্রমিক নেতারা ট্রাকটি মেরামতের বাধা দেয় এবং ট্রাকটি আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা এবং ছিনতাই হয়ে যাওয়া ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের তেল ফেরৎ চাই।’
আরও পড়ুন: শেরপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে শ্রমিক নেতা ফারুক মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতির সাথে জড়িত না। আমি শ্রমিকদের ভোটে নেতা হয়েছি। ব্যবসায়ী মিন্টুকে কোনো হুমকি বা চাঁদা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এসেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুবায়দুল আলম বলেন, থানায় একটি জিডি হয়েছে। ওই ব্যবসায়ী যদি প্রাণনাশের হুমকিতে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।