বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী ও সোমেশ্বরী নদী এবং নালিতাবাড়ির ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হতে শুরু করে নিম্নাঞ্চল। এ পর্যন্ত ২টি উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে ঢলের পানি।
আরও পড়ুন: শ্রীপুরে পুকুরে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে ভেসে আসে বিভিন্ন গাছের ডালসহ ছোট-বড় অনেক লাকড়ি। আর এসব লাকড়ি সংগ্রহ করতে প্রতিযোগিতা শুরু হয় স্থানীয়দের মাঝে। দুপুরে ঝিনাইগাতীর মহারশী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে আসতে থাকে অনেক ছোট-বড় লাকড়ি। এ সময় মহারশী নদীর ডাকাবর এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল্লাহর ছেলে ইসমাইল (১৭) নদীতে ভেসে আসা গাছ ধরতে গিয়ে পানির স্রোতে নিখোঁজ হয়। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার উদ্ধারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: উত্তরায় কাশবনে মিলল তরুণীর অর্ধিগলিত মরদেহ
অপরদিকে, নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালি নদীর বুরুঙ্গা সেতু এলাকায় ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায় ওই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং বুরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়ুন (১২) নামের এক শিশু। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা হুমায়ুনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
]]>