শেরপুরে আবারও বার্মিজ পাইথন উদ্ধার, বনে অবমুক্ত

৩ দিন আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়িতে আবারও একটি বার্মিজ পাইথন উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পোড়াগাঁও গ্রামের একটি বাঁশঝার থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়। পরে বন বিভাগ ওই অজগরটিকে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকার গভীর জঙ্গলে অবমুক্ত করে।

স্থানীয়রা জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও গ্রামের একটি বাঁশঝারে বিশাল আকৃতির একটি অজগর সাপ দেখতে পায় রকিব মিয়া নামে একব্যক্তি। সাহসী রকিব মিয়া অজগরটিকে ধরতে গেলে সাপটি তাকে কামড় দিয়ে বসে। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বন বিভাগকে খবর দেয়া হয়।


খবর পেয়ে বনবিভাগের ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশনের (উঊঝঈ) প্রতিনিধি দল পোড়াগাঁও গ্রামে বাঁশঝারে যায়। ততক্ষণে অজগর সাপটি বাঁশঝারের উপরে উঠে পড়ে। বনবিভাগের কর্মীরা অনেক চেষ্টার পর বাঁশঝার থেকে সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে সাপটিকে মধুটিলা রেঞ্জের গভীর বনে অবমুক্ত করেন তারা। উদ্ধারকর্মীরা জানান, সাপটির দৈর্ঘ ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং এর ওজন ৭ কেজি ২০০ গ্রাম।

আরও পড়ুন: ভোলায় সাপের কামড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, ‘পোড়াগাঁঁও এলাকায় একটি বাঁশঝারে একটি বড় অজগর সাপ রয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত বনবিভাগের ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশনের একটি দল সেখানে পাঠাই। সেময় সাপটি বাঁশঝারের মাথায় উঠে পড়ে। আমাদের উদ্ধারকর্মীরা সাপটিকে কৌশলে ঝাড়ের ওপর থেকে নিচে নামিয়ে এনে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এটি একটি বার্মিজ পাইথন জাতের সাপ। কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর বিকেলে সাপটিকে গভীর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে খাবারের সন্ধানে সাপটি লোকালয়ে এসেছিল।’


তিনি আরও বলেন, ‘এই সাপটি আমাদের দেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে আশার কথা হচ্ছে, গত কয়েক মাসে শেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই প্রজাতির আরও তিনটি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে ধারণা করা যায় যে, শেরপুরের বন এখন সমৃদ্ধ হচ্ছে। কারণ সমৃদ্ধ বন ছাড়া এই জাতের সাপকে খুব একটা দেখা যায় না।’


উদ্ধার এবং অবমুক্তকরণের সময় উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের সমুশ্চুড়া বিট কর্মকর্তা কাউসার হোসেন, মধুটিলা এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি)-এর সদস্য আরফান আলী, এবং 'হাতির খবর ও সচেতনতা গ্রæপ'-এর প্রতিনিধি আকরাম হোসেন, কাঞ্চম মারাকসহ অনেকে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন