বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এ জবানবন্দি পেশ করবেন তিনি।
এ ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
তার সাক্ষী দেওয়ার সময় আন্দোলন দমনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কয়েকটি ফোনালাপও আদালতে বাজিয়ে শোনানো হবে। ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে এটা সব গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টের হত্যা /শেখ হাসিনার পক্ষের আইনজীবীর প্রশ্নে হতবাক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো জুনায়েদ
এদিন সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন (এম এইচ) তামিম।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে পুনঃজবানবন্দি দেন সিআইডির একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। যিনি শেখ হাসিনার তিনটি কথোপকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যে দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য শেষ করেন প্রসিকিউশন। এখন পর্যন্ত সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। হত্যাকাণ্ডের জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের দায়ী করেন সাক্ষীরা।
]]>