শেখ হাসিনা ও জয়ের ডলার পাচারের অভিযোগ অনেকটাই সত্য: দুদক চেয়ারম্যান

২ সপ্তাহ আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনেকটাই সত্য-এ কথা জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে প্রথম গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

 

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে দুদক চেয়ারম্যান এসময় দুদকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ যৌক্তিক জানিয়ে প্রভাব মুক্তভাবে স্বচ্ছ তদন্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন।

 

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, 

শুধু সবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে  সজীব আহমেদ ওয়াজেদই নয় তার বোন শেখ রেহেনা এবং তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে; দেশের ৯ প্রকল্পের ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচারের। ১৭ ডিসেম্বর থেকেই যার অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে সসংস্থাটি। আর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

 

আরও পড়ুন: ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার, হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দুদকের

 

টানা ১৫ বছর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে দেশকে দুর্নীতির এক স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাগিয়ে নিয়ে দুর্নীতি আর টাকা পাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছিল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে হাই কমান্ড পর্যন্ত।  গণঅভ্যুত্থনে সাবেক শেখ হাসিনার পতনের পর তাদের দুর্নীতির ফিরিস্তি বের হচ্ছে প্রতিদিনই।

 

তাদের দুর্নীতির এই মহাযজ্ঞে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও পিছিয়ে নেই। দেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

 

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, 

দুদকের গতি বেড়েছে এটা আপনারাই লিখেছেন। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। সেই দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।আমরা কোনও লুকোচুরি করবো না। সময় মতো সব কিছুই সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হবে।

 

সভায় সাংবাদিকরা এ সংস্থার নানা অনিয়ম, সংস্থাকে কুক্ষিগত করা ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বিষয়টি সামনে এনে নতুন কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে কমিশনারা বলেন, কারও ভয়ভীতি দুদকের তদন্ত প্রভাবিত করতে পারবে না বলে জানান কমিশনার ব্রি. জেনারেল অব হাফিজ আহসান ফরিদ ও কমিশনার মিয়া মোহাম্মদ আলী আকবর।

 

এদিকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ১৬ অ্যাকাউন্টে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক। যা এরইমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। এছাড়া আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম ও সহযোগী ফারহানা ফেরদৌসের বিরুদ্ধে আসা আলাদা আলাদা দুটি অভিযোগও অনুসন্ধান করছে দুদক।

 

কমিশনের অপর দুই সদস্য সাবেক জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ, দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিনসহ দুদকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন