বরাদ্দ বাড়িয়ে ব্যয়ের নামে অপচয় ঠেকাতে চলতি অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৯ হাজার ৫৯৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা কম।

এই সংকোচনমুখী বরাদ্দ ব্যয়ের শুরুতেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে সরকার। জুলাইয়ে ব্যয় হয় মাত্র দশমিক ৬৯ শতাংশ; যা আন্দোলনে উত্তাল গেল অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।

অবশ্য এরপরের মাস থেকেই বাড়তে থাকে এডিপিতে দেয়া বরাদ্দ ব্যয়ের পরিমাণ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ- আইএমইডির তথ্য, অক্টোবর শেষে গেল চার মাসের এডিপির ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৮৭৮ কোটি ৩৪ লাখে; শতাংশের হিসাবে গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যয় বাড়লেও কমেছে টাকার অংকে।

এ সময়ে বরাদ্দ পাওয়ার শীর্ষ ৫ মন্ত্রণালয়-বিভাগের মধ্যে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগে- ৪৯৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ২৬৯১ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় করে পরের অবস্থানে রয়েছে থাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। ব্যয়ে পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

এ সময়ে বরাদ্দ পাওয়া অর্থের এক শতাংশও ব্যয় করতে পারেনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও জননিরাপত্তা বিভাগ।


ব্যয়ের খাতাই খুলতে পারেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংসদ কার্যকর না থাকায় ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া সংসদ বিষয়ক সচিবালয়ও থেকেছে ব্যয় শূন্য।


১ দিন আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·